সিলেটের সাংবাদিক তুরাবের পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৮ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান গ্রহণ করেন তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর।
এ ছাড়া নিহত আরও ৩৩ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুদানের মধ্যে ছিল পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
গত ১৯ জুলাই মহানগরের বন্দরবাজারে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব।
তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর বলেন, শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক আমাদের খবর দেন এবং সরকারি খরচে উড়োজাহাজে আমরা ঢাকায় পৌঁছাই। রোববার দুপুরে গণভবনে আমার হাতে প্রধানমন্ত্রী নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সময় সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ, সিলেটের সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারসহ মোট ৩৪টি পরিবারের লোকজন রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আপ্লুত প্রধানমন্ত্রীর চোখেও তখন অশ্রু দেখা যায়। স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এ খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি জিন্দাবাজার অভিমুখে রওনা হয়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব।
গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘণ্টা দুয়েক পর পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে সহকর্মীরা ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।