বড়লেখায় নিত্যপন্যের বাজারে আগুন, দিশেহারা ক্রেতারা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৪, ৫:২৯:২৪ অপরাহ্ন
আশফাক আহমেদ, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিভিন্ন অজুহাতে কাঁচাবাজারে পন্যের দাম বেড়েই চলছে। ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পটল,পেঁপে ও মিষ্টিকুমড়া ৪০। এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে খুচরা বাজারে দাম চাওয়া হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা। এমন অবস্থায় দিশেহারায় পড়েছেন ক্রেতারা।
নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজির এমন অস্বাভাবিক দামে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজরে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।
রোববার পৌর মার্কেটের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে সবজির মধ্যে ৬০ টাকা কেজি দরে মিলছে কেবল পটল,পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়া ৪০। এছাড়া বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, কাচ কলা হালি ৮০ টাকা, বরবটি-১২০-১৫০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস লাউ,কুমড়া আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শাকসবজির দামও চড়া। পাটশাক, পালংশাকসহ যেসব আঁটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন ⤵️
রাজনগরের পন্ডিতনগর সড়কে কাবিটার ইট সলিং কাজের উদ্বোধন
কাঁচাবাজারের বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েকটি জায়গায় বন্যা ও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির পরিমাণ কম। যার কারণে বাড়তি দাম দিয়েই আড়ত থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে। সেই প্রভাবই পড়েছে খুচরা বাজারে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, কাঁচাবাজারের এমন বাড়তি দামের কারণে চাহিদার তুলনায় কম বাজার করছেন তারা।
ভুক্তভোগী এক ক্রেতা জানান, ১০০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ট্রাক ট্রাক মালামাল নিয়ে আসেন৷ বিশেষ করে সবজি আড়তে আলু, পিয়াজ, ও সবজির সমারোহ। আড়তদারের কাছ থেকে খুচরা ব্যাবসায়ীরা কম দামে সবজি কিনে পৌর শহরের প্রধান সড়কে হাবিব মার্কেট এর সামনে বেশি দামে বিক্রি করেন। অনেকে স্থানীয় সবজি মনে করে বেশি দাম দিয়ে কিনে নেন। আসলে এগুলো বাইর থেকে নিয়ে আসা। বড়লেখা বাজার থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে সবজির দাম কম। বড়লেখায় বাহিরের যারা চাকুরী করে তারা সবজি ও মাছ মাংশের দাম দেখে খুবই অবাক হয়। কাঁচাবাজারে একটি শক্তিশালী বাজার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যার খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।