মুক্তিযুদ্ধ: ৫৩ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন এসএম ওমর আলী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২৪, ৩:৪৩:০২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন ময়মনসিংহের ভালুকার আলহাজ এসএম ওমর আলী (ওমর পিআইও)। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যাচাই-বাছাই শেষে কমিটির ৮৯তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এসএম ওমর আলীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার গেজেট নং-৫৯৭৬।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে। যুদ্ধকালীন সময়ে আফসার বাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী রণাঙ্গনে বহু সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিনের আফসার বাহিনীর মুখপত্র ‘জাগ্রত বাংলা’ প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওমর আলী ১৯৬৭ সালে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সম্মুখভাগে থেকে ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তিনি ডাকাতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ভালুকা থানা ছাত্রলীগের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও ম্যাগাজিন সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওমর আলী মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানী প্রদত্ত সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওমর আলী ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকারের একাধিক রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেন। রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ফের একাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামি হন। সমাজসেবায়ও বিশেষ অবদান রয়েছে তার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওমর আলী ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে এলাকায় একাধিক মসজিদ মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। ১৯৭৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিরত অবস্থায় পরিবারের অনুরোধে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর নিয়ে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
বর্তমানে তিনি মনো হ্যাচারি লিমিডেটের চেয়ারম্যান ও মনো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওমর আলী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ওয়াকার হাসানসহ কমিটির সব সদস্যর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এত বছর পর আমি আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি। একইসঙ্গে তার সহযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।