আত্মগোপনে থেকে চাকরি বাঁচাতে তদবিরে মতিউর
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৪, ১২:০১:১৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
তার আগে রোববার মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। এনবিআরের সদ্য ওএসডি হওয়া এই সদস্য যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য বিমান, স্থল, সীমান্ত গুলোয় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা যেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অবস্থায়ই দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য এই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ছাগলকাণ্ডের ১৪ দিন পর প্রথম স্ত্রী লাকী প্রকাশ্যে এলেও এখনো মতিউরের হদিস নেই। তিনি কর্মস্থলেও যাচ্ছেন না। এনবিআরের সদস্য পদ থেকে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা মতিউর ঈদের ছুটি শেষে এখনো তার কর্মস্থলে যোগ দেননি বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পুরোনো ভবনের দোতলায় তার জন্য নির্ধারিত কক্ষটিও পরিপাটি করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৬০ দিনের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তবে মতিউর নিজেকে রক্ষায় বরাবরের মতোই প্রভাবশালী মহলে তদবিরে নেমেছেন। গণমাধ্যমে তাকে ও তার পরিবারকে নিয়ে যাতে সংবাদ প্রচার না হয় সে চেষ্টাও চালাচ্ছেন। তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী প্রকাশ্যেই বলেছেন, ঢাকার ও নরসিংদীর টেলিভিশন ও পত্রিকার বড় বড় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই রায়পুরায় গেছেন। আর কিছু হবে না। সব থেমে যাবে বলেও দম্ভোক্তি করেছেন তিনি।
ঈদুল আজহার আগে মোহাম্মদপুরের বিতর্কিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনেন ধানমন্ডির তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। এই ছাগল কেনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ইফাতের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এরপরই দৃশ্যপটে আসে এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান পরিবারের বিপুল সম্পদ। আর অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বছর ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিপুল সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করার আদেশ দিলে আলোচিত হয় ফয়সালের দুর্নীতি।