জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাজ্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভার্চুয়াল স্মরণ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০২৪, ৮:০৭:২৭ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: শহীদ জননী জাহানার ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে “শহীদ জননী: একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার ও ব্রিটিশ আদালতের সাম্প্রতিক রায়” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬জুন।
বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা। সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম স্টেট্রেজি ফোরামের ফাউন্ডার রায়হান রশীদ।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার দুই উপদেষ্টা মাহমুদ এ রউফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহসভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন, সহসভাপতি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ওয়েলসের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক টি এম কায়সার, আমরা ৭১ যুক্তরাজ্যের সংগঠক সত্যব্রত দাশ স্বপন, উদ্যোক্তা সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত দাশ প্রশান্ত, সদস্য, বার্কিং এন্ড ডেগেনহামের মেয়র কাউন্সিলার মঈন কাদরী ও এক্টিভিষ্ট এম এম জি রব্বানী প্রমূখ।
বক্তারা শহীদ জননীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক আখ্যায়িত করে বলেন, বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশটিকে যখন পরাজিত শত্রুরা খামচে ধরতে উদ্ধত হয়েছিল, ঠিক তখন এদের মোকাবেলায় জাতির ত্রাতা হিসেবে বজ্র কঠিন হুঙ্কার দিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন শহীদ জননী।
তারা বলেন, পাকিস্তানী শাষকদের শোষন নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতীকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু আবির্ভূত হয়েছিলেন ত্রাতা হিসেবে। আর পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ঘাতক দালালদের কড়াল থাবা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছেন শহীদ জননী।
বক্তারা বাংলাদেশের আদালতে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, শহীদ জননী গণআদালত গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচারের যে সূচনা করেছিলেন। সেই বিচারই আন্তর্জাতিক সব আইন কানুন মেনে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ আদালত সম্পন্ন করছে। একটি স্বাধীন দেশের আদালতের বিচারকার্যক্রম সম্পর্কে অন্য কোন দেশ বা আদালত কি মন্তব্য করলো সেটি দেখার সময় নেই বাঙালি জাতির। একাত্তরে ভিকটিম হয়েছে যে দেশের মানুষ, সেই দেশ তাঁর নিজস্ব আইনে, নিজ আদালতে এই ভিকটিমদের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে, সভ্যতার দাবিদার বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর এবিষয়টি অনুধাবন করা উচিত।
তারা বলেন, ভিকটিমদের চেয়ে অপরাধীদের মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা আর যাই হোক সভ্যতার ঠিকাদার হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেন না।