জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম বাংলাদেশের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২৪, ৯:১২:০২ অপরাহ্ন
হাকিকুল ইসলাম খোকন: জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে দেশের জনগণের অধিকার , মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষে। রাজনীতিতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে সবার অংশগ্রহণে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য এবং অবৈধ সমঝোতা চুক্তি ও ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান এই স্লোগানে ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।খবর বাপসনিউজ ।
গত রোববার,২৩ জুন ২০২৪ ,রাত সাডে ৮টায় জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৌতিক, সামাজিক, সাংকৃতিক ও পেশাজীবীর উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন দলের পক্ষ থেকে হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন। অতিথি ছিলেন আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর সভাপতি সিনিয়র সংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল ও ম্যাগাজিন প্রবাস মেলার নিবাহী সম্পাদক সাংবাদিক শহীদ রাজু,জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান প্রমুখ।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ) বাংলাদেশের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন , ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে দেশ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ) বাংলাদেশের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুস্টানে বক্তারা বলেন , সিনহা থেকে শুরু করে বেসিক ব্যাংকার বাচ্চু, পিকে হালদার, মখা আলমগীর, কোটি টাকা ছাড়া স্যার টাকা নেন না খ্যাত ডিবি পুলিশের হারুন, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে অবৈধভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরা আওয়মীলীগকে অবৈধ সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে লুট করে। শুধু দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন নয়, ক্ষমতার অব্যবহার করে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ কর্তৃক একজন সংসদ সদস্যের টেলিভিশন চ্যানেলের শেয়ার দখল, পাহাড়ে জমি দখল, গোপালগঞ্জে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের মতো জঘন্য ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি না করে বরং রাজনৈতিক রং মাখিয়ে গণমাধ্যমসহ যারা পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার তাদের নিয়ে বিষোদগার করে বিবৃতি প্রদান করেছে। যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন করতে পারে না। এটি সংবিধান ও নৈতিকতা পরিপন্থী। এ ধরণের কর্মকান্ড পুলিশের অসৎ কর্মকর্তাদের রক্ষা করার অপপ্রয়াস।
জনসেবায় দেশের তরে পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা সচেতন নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাই বলে গুটিকয়েক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় পুরো বাহিনীর ওপর আসতে পারে না। কিন্তু পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রকারান্তরে অসৎ, দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের পক্ষে। জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশের সর্বত্র যে অসৎ, দুর্নীতিবাজ দুষ্ট লোকের আধিপত্য ও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি তারই একটি উদাহরণ।
গত কয়েক বছর ‘গণমাধ্যমগুলো’ স্বকীয়তা হারিয়ে ক্ষমতাসীনদের তল্পীবাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও দেশের নানান নিবর্তনমূলক আইনের মধ্যে থেকে গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমগুলো সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আবদুল আজিজ, ঢাকা মহানগরের সাবেক পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, ডিআইজি জামিল হাসান, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রশাসনের উচ্চপদকে অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের যে চিত্র তুলে ধরেছে তা দু:সাহসী ভুমিকা পালনের নামান্তর। রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ গণমাধ্যম ঝুঁকি নিয়েই দেখিয়ে দিয়েছে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিভাবে দেখকে দুর্নীতির শ্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা ও তীব্র বিতর্ক। এর সঙ্গে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতি দিয়েছে। পুলিশ এসোসিয়েশনের সেই বিবৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য ও সম্প্রদার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যেন গণমাধ্যমে পুলিশের খবর প্রচারে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে সম্পাদক পরিষদ বিবৃতি দিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকিসরুপ বলে উল্লেখ করেছে। সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয় (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) পাল্টা বিবৃতি পরিস্থিতি আরো গরম হয়ে গেছে। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, পুলিশের সাবেক কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার লুটপাট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তির ভাষা দেখলে মনে হয়, স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের হুমকি কেবল পুলিশি রাষ্ট্রেই দেখা যায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এ ধরনের ঔদ্ধত্য রাষ্ট্রীয় শৃংখলাভঙ্গের শামিল।
জনগণ সেবা পাচ্ছে না কিন্তু জনগণের হাজার কোটি নষ্ট করে বিদেশে এমপি মন্ত্রী বিলাসবহুল চিকিৎসা নিচ্ছে। এরাই আবার বলে দেশে উন্নত চিকিৎসা আছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেললাইন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেললাইন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করবে। ভারতের রেললাইন দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনগণ মেনে নেবে না। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত। ভারত দেশের ভেতর দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাবে, তা দেশের মানুষ কোনো দিন মেনে নেবে না। যে দেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে, সে দেশের মানুষ পরাধীনতা মানবে না। দিল্লীর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবিরোধী নতুন কোন চুক্তি শেষে দেশে এসে আগের মতো বলবেন আমি শেখ হাসিনা ভারতকে যা দিয়েছি , সারা জীবন ভারত মনে রাখবে। আমি কারো কাছে চাইতে ভালো লাগে না, দিতে ভালো লাগে।
শেখ হাসিনার সরকার ‘ভারতের সেবাদাস’ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন কতিপয় বক্তারা। একইসঙ্গে পুলিশের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার দায়ও তাদেরকেই নিতে হবে, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত।’ শুধু ভারত নয়, সমগ্র আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ আজকে পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অথর্ব নতজানু শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে’।
‘আপনারা দেখেছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির কাহিনী বেরিয়েছে। সাবেক যে সেনাপ্রধান (আজিজ আহমেদ), তার দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে। আরও কয়েকজন পুলিশের দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে।’ পুলিশের অ্যাসোসিয়েশন থেকে একটা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সত্য প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে যে এই সত্য (পুলিশের দুর্নীতির খবর) প্রকাশ করা যাবে না। লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত আজকের পুলিশ ও বিজিবিজাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুস্টানে বক্তারা বলেন , দেশের মানুষ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কষ্টে আছে। অপরদিকে পানি-গ্যাসের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে বিষিয়ে তুলছে। ব্যাংক লুটপাটসহ শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, বিদেশে অর্থপাচার ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন দুর্নীতির কারণে চরম কষ্টকর জীবন-যাপন করছেন।কতিপয় বকতা বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের কাছে মানুষ চরম অসহায়। সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে না।, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনের জীবন-যাপনে অপরিহার্য নানা পণ্যের সেবার ওপর বাড়তি কর চাপানো হয়েছে। মোবাইলফোনে কথা বলার ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়েছে। পানি শোধন যন্ত্র, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি দ্রব্যের ওপর শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়াবে।
মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট দলের ভেতর সব চেয়ে বেশি স্বাধীনতা বিরুধী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন , মেজর জলিল।তিনিই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সেক্টর কমান্ডার যিনি কোন খেতাব পাননি! তাঁর অপরাধ ছিল, যুদ্ধ শেষে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে লুট পাট করতে ছিল, তখন তিনি বাঁধা দিয়েছিলেন, যশোর বেনাপোল সীমান্তে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর এই বীর সেনানীর মৃত্যুবার্ষিকী গেছে, বাংলাদেশের কোন পত্র পত্রিকা/ টিভি চ্যানেলে তাঁর নামটিও আসেনি মাত্র। অথচ বাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা শিশু মুক্তিযোদ্ধা নাম বিক্রি করে কোটা বাণিজ্য সহ ক্ষমতাসীনেরা জাতিকে অধিকার হারা করছে। আওয়ামীলীগের অনেক নেতারা যোদ্ধ করে নাই , তারা আরাম আয়েসে ভারতে ফুর্তি আমোদ করছিলো। সেই দুঃখে আহমেদ সফা ওদের দেখে গালি দিয়ে বলেছিলেন দেশে এদের লটকিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর প্রথম সরকার ভারতের পদানত হয়ে নিজ দলীয় পাচার ডাকাতি লুটপাটের ব্যবসা করে। পরিণতিতে লক্ষ মানুষ মারা যায় দুর্ভিক্ষে।
দিনের ভোট রাতে হয় উল্লেখ করে কয়েকজন বক্তা বলেন , গত কয়েক বছর ধরে মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারছে না। কারণ, দিনের ভোট সব রাতেই দেয়া হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন , জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষা করা এখনও সুদূরপরাহত। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যলট পেপারের ঘটনাটি বিবিসি প্রকাশ করার পর নির্বাচন কমিশন দিনের ভোট রাতে করে বলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। এটি কোনভাবেই কাম্য ছিল না।
এতো জনপ্রিয়তা থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনে ভয় কেন জানিয়ে কয়েকজন বক্তা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে পারছে না। জনগণ তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই শুরু হয় কুখ্যাত বাকশালী নির্যাতন। পোশাকি বাহিনীর সাথে হেলমেট বাহিনী , হাতুড়ি বাহিনী সহ নানা বাহিনীর হাতে হতাহত হতে হয় জনগণকে। বাংলাদেশ এখন ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন , পলাশী যুদ্ধের জাতীয় শত্রুদের কারণে যেমন করে ব্রিটিশ বেনিয়া দেশকে দখল করেছিল তেমনি আওয়ামীলীগ ৭১ সালের পর থেকে ভারতের চক্রান্তে বার বার দেশকে ভারতের পদানত করেছে। বিডিআর হত্যার মাধ্যমে ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বোভৌমত্বকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে চৌকস ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। আজকের দিনে সেই শহীদ বীর সন্তানদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। জাতির জন্য এটি একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। পিলখানা হত্যাকান্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এটা আধিপত্যবাদী শক্তির বাংলাদেশকে করদরাজ্য বানানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। পাক-ভারত উপমহাদেশে আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত তা কোনদিনই মেনে নেয়নি। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরে কংগ্রেসের একটি মিটিং-এ অফিসিয়ালি জওহরলাল নেহেরু স্পষ্ট করে বলে আপাতত আমরা এটা মেনে নিচ্ছি। তার অর্থই হচ্ছে স্থায়ীভাবে তারা কখনই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট ভূখন্ড মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন দেশ ঠিকই পেয়েছি কিন্তু ভারতীয় আগ্রাসন থেকে আজও মুক্ত হতে পারিনি। এই আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে তার করদরাজ্য বানানোর জন্য সকল ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়াতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের এই ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে জয়েন্ট প্রজেক্ট বা যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই দু’টি শক্তির একটি হলো এ দেশীয় সহযোগী শক্তি এবং অপর শক্তি হলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একটি বিশেষ সংস্থা। তারা এখনও এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেই চলেছে। যার প্রমাণ তাদের এ দেশীয় দোশর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই বলছে ৭ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভারত আমাদের পাশে ছিলো বলেই আমরা বিজয়ী হয়েছি। মূলত আওয়ামী লীগ ভারতকে বিদেশি শক্তি মনেই করে না। অথচ আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্রে দেশের সীমানা আজ অরক্ষিত। এই আগ্রাসী শক্তি আমাদের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা সহ সকল ক্ষেত্রে গোলামী বা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করতে চায়। ফলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনতাকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।পিলখানা হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বাংলাদেশের মানুষ এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর পায়নি। সেই দিন দরবার হলে আসলে কি হয়েছিল? বিডিআরের এই প্রোগ্রামে মূলত প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তিনি গেলেন না কেন? অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল মেধাবী অফিসারকে বিডিআরে বদলী করে কেন সবাইকে একত্রিত করা হলো? এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট আজও জনম্মুখে আসতে দেওয়া হয়নি কেন? গণতান্ত্রিক দেশে সকল নাগরিকদের এ তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এ তথ্য প্রকাশিত হলেই এই নৃশংস ঘটনার আসল রহস্য জাতির কাছে উন্মোচিত হয়ে পড়বে।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন , ২০০১ সালের নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবারের স্লোগান দিয়ে বিডিআর রৌমারি সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন ঠেকিয়ে দিয়ে যে বীরত্ব দেখিয়েছিল আধিপত্যবাদী শক্তি তারই নিকৃষ্ট প্রতিশোধ নিয়েছে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে। এটা স্বাভাবিক কোনো হত্যাকান্ড ছিলো না। পিলখানায় দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও পার্শ্ববর্তী শক্তি বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। তারা ভেবেছিল এসব দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার বেঁচে থাকলে এদেশে তাদের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা যাবে না।হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন তার বক্তব্যে বলেন , ভারতকে খুশি করে ক্ষমতা লোভ সেই অতীতে ছিল এবং ভারতের চাহিদা অনুযায়ী চুক্তি করে বাংলাদেশের মানচিত্রকে বিকৃত করা হচ্ছে। কখনো আইন করে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্দ করে আবার কোনো বিনাভোটে , নির্বাচনের আগের রাতের ভোটে ক্ষমতার মসনদে বসে কথিত জঙ্গি বাহানায় জাতিকে নিষ্পেষিত করা হচ্ছে। সীমান্তে পাখির মতো লোক হত্যার পর ও আওয়ামীলীগের নেতারা বলেন ভারত বাংলাদেশ স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন , ট্রানজিটে বাংলাদেশ পাচ্ছে কম, দিচ্ছে বেশি। ট্রানজিটে সবচেয়ে লাভবান হবে ভারত, আর সামান্য আয় হবে বাংলাদেশের। ট্রানজিটের জন্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয়ও বেশি করতে হবে বাংলাদেশকে। আবার চার দেশের যান চলাচলের যে চুক্তি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি দেশ নিজেদের অবকাঠামো নিজেরাই তৈরি করবে। তাই সড়কপথের অবকাঠামো তৈরি করতে পারস্পরিক আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং বিনিয়োগ করতে হবে বাংলাদেশকেই। যদিও ট্রানজিট ব্যবহার করবে সবচেয়ে বেশি ভারত।
অথচ ট্রানজিট নিয়ে সরকার ২০১১ সালে একটি কোর কমিটি গঠন করেছিল। ট্যারিফ কমিশনের সেই সময়ের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ছিলেন কমিটির প্রধান। বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরাও সেই কমিটিতে ছিলেন। কমিটি একটি সমন্বিত ট্রানজিটের জন্য ১৫ ধরনের মাশুল আরোপের সুপারিশ করেছিল। কমিটির অন্যতম সুপারিশ ছিল, কেবল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগের মাশুলই হবে সর্বনিম্ন ৫৮০ টাকা। কোর কমিটি আরও বলেছিল, ট্রানজিট দিতে বাংলাদেশকে যে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে, তাতে বিনিয়োগই করতে হবে ৪৭ হাজার কোটি টাকা।
সেই কোর কমিটি নেই। বিনিয়োগ উঠিয়ে আনা নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। কোর কমিটির সেই প্রতিবেদনও এখন হিমঘরে। আর ৫৮০ টাকার মাশুল কমতে কমতে হয়ে গেছে ১৩০ টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ যে কম হলেও মাশুল আদায় করতে পারছে, এটাই বড় সাফল্য। কারণ, একসময় সরকারের কেউ কেউ বলেছিলেন, কোনো মাশুলই আরোপ করা যাবে না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন , ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো ভারত সফরে যেয়ে ভারতের সেবাদাস অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রকারান্তরে ভারতের করদ রাজ্য পরিণত করেছেন। তারা বলেন, ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে টানা চতুর্থ বারের মত অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে দেশ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন বক্তব্যে আরো বলেন , জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে দেশের জনগণের অধিকার , মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষে। রাজনীতিতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে সবার অংশগ্রহণে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য। কেউ বাপের নামে , কেউ স্বামীর নামে জমিদারি রাজনীতি করে জনগণকে তাদের প্রজা মনে করে। দলের পদ বিক্রি থেকে শুরু করে হাজার হাজার টাকা পাচার , রিজার্ভ ডাকাতি এসব জাতিকে অধিকার হারা করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লেলিয়ে দেয়া হয় রাষ্ট্রের খরচের বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের। সরকার বলে, দারিদ্র্যের সংখ্যা নাকি কমে এসেছে ১৯ শতাংশ। নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচির আওতায় সরকার যে ভাতা দেয়, দুঃস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র ভাতা সেটা ৩৮ শতাংশে নিয়ে যায়। অপরদিকে পত্রিকা বলছে, ওখানেও (দরিদ্র ভাতা) এরা ভাগ বসায়, তাদের জন্য বরাদ্দের টাকা নিয়ে যায়। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। টাকার কোনো হিসাব নাই।
সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয়ই সেই বিষয়গুলো তারা দেখবে, দেখেছে অতীতে। আর কোনো দেশ যদি আমাদের মনে করে যে, আমাদের ওপর প্রভুত্ব করবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করে নাই—মুঘল আমলেও করেনি, ব্রিটিশ আমলেও করেনি, পাকিস্তান আমলেও করেনি, এখনো করবে না।’
সমাবেশে উপস্থিত কয়েকজন নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘ করে ভারত আমাদেরকে ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। আমরা যে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য, তাতে বিনিয়োগ করার জন্য ভারত প্রস্তাব করেছে। শুধুমাত্র অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের অধিকার হরণ করে ভারতের সাথে অসম চুক্তি স্বাক্ষর দেশবিরোধী এবং দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি এই চুক্তি মানবে না মানবে না।
ট্রানজিট দিচ্ছে ক্ষমতার জন্য উল্লেখ করে জাগপা যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি বলেন , ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন – পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফররা এই উপমহাদেশটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে তুলে দেয় তাদের দোসরেরা আজকে ২০২৪ সালের ২৩ শে জুন বাংলার প্রান্তরে কারা এই দেশটাকে ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেয়।বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার জন্য ভারতকে অনুমতি দিয়ে রেখেছে। মাতারবাড়ির ক্ষেত্রেও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না, এটাও দিল্লি একরকম ধরেই রেখেছে।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুস্টানে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের বুকের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ এবং বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনায় ভারতের সরাসরি টেকনিক্যাল অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে কৌশলগত সব দিক ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দেশবাসীকে এই অবৈধ সমঝোতা চুক্তি ও ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান।