ইসরায়েল প্রস্তুত বড় যুদ্ধে যেতে, থামাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২৪, ১:১৯:৫৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবার বড় যুদ্ধের সামনে মধ্যপ্রাচ্য। সম্ভাব্য এই যুদ্ধ ঠেকাতে না পারলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে জ্বলবে আগুন। তাই যুদ্ধ থামাতে তড়িঘড়ি মাঠে নেমে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজের পরম মিত্র ইসরায়েলকে থামাতে যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু লেবাননে হামলার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে নিজের শীর্ষ একজন উপদেষ্টাকে পাঠিয়েছেন বাইডেন।
লেবাননে হামলা করতে প্রস্তুত ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই লেবাননের দিক থেকে প্রতিরোধের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। তাই লেবাননে হামলার সব প্রস্তুত নিয়ে রেখেছে তেল আবিব। কিন্তু লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য ইসরায়েলি সরকারকে বোঝানোর সব রকম চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন বাইডেন। কিন্তু যুদ্ধে যেতে অনেকটাই অনড় নেতানিয়াহু সরকার।
পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে এবার নিজের একজন শীর্ষ উপদেষ্টাকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন বাইডেন। সোমবার বাইডেনের এই বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যে শত্রুতার ‘ব্লু লাইন’ যেন অতিক্রম না হয় সেই চেষ্টাই চালাবেন হোচস্টেইন। তার ইসরায়েল সফরের আগে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওই বৈঠকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডারমার, চিফ অব স্টাফ জাচি ব্রাভারমেন, মিলিটারি সেক্রেটারি রোমান গফম্যান ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা ওফির ফালক উপস্থিত ছিলেন। হোচস্টেইনের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত স্টেফানি হ্যালেট। তবে ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত জানায়নি ইসরায়েল সরকার। তবে গ্যালান্টের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করেছেন হোচস্টেইন।
ইসরায়েল সফর শেষে লেবানন উড়ে যান বাইডেনের এই বিশেষ দূত। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘জরুরি’ ভিত্তিতে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান। বৈরুত সফরে গিয়ে হোচস্টেইন বলেন, ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। সবার স্বার্থেই এই ইস্যু খুব দ্রুত এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন হোচেস্টেইন। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে ‘একটি বড় যুদ্ধ’ এড়াতে চায় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কয়েক সপ্তাহ আগে ইরান থেকে প্রথমবার সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছিল। সিরিয়ায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ার পর ইরান এমন পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু লেবাননের সঙ্গে যদি ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে ময়দানে নামতে পারে ইরানও। এমনটা হলে আরও কয়েকটি দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উঠবে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি।