গ্রেফতার চেষ্টা তারেকসহ পলাতক আসামিদের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২৪, ২:২১:০৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ১৫ সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা আছে।
গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষে ৫২ জন আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ আসামির মধ্যে তিনজন আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় গোষণা করেন।
বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বেসরকারি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বর্তমান সরকার বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নানা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণে সরকারের নানা উদ্যোগের ফল হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৪ হাজার ৭১১টি শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন দিতে পেরেছে। এর বিপরীতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৭ মিলিয়ন টাকা।
এখানে ৫ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে ৬ হাজার ৪৮৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। মাত্র দেড় দশকের ব্যবধানে জিডিপির আকার চার গুণের বেশি বেড়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতর দেশ। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালে এসে জনগণের মাথাপিছু আয় চার গুণের বেশি বেড়ে ২৭৮৪ ডলার হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তার সমীক্ষা সম্পন্ন করে পিডিপিপির বিষয়ে চীন সরকারের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অর্থনেতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অধিক বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলায় বজ্রপাতের ফলে সৃষ্ট প্রাণহানি রোধে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১৫৩ জন আসামির মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নারীবান্ধব বিভিন্ন নীতি-কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে নারী শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রভূত বেড়েছে। এতে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া হ্রাস পেয়েছে। নারী শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়েছে।