মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের সতর্কবার্তা: পরিস্থিতি উন্নতি না করলে বিদেশি বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৪, ৮:৪৯:৫২ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: বাংলাদেশসহ বিদেশি কর্মী কেন্দ্রিক মানবাধিকার ও মানব পাচার সংক্রান্ত অবনমন পরিস্থিতির সরাসরি পর্যবেক্ষণে মালয়েশিয়ায় আসা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মানবাধিকার এবং ব্যবসার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তুলে ধরেছেন। মিস্টার ভলকার তুর্ক মালয়েশিয়াকে সতর্ক করেছেন যে, ব্যবসা ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার না দিলে ভবিষ্যতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য মালয়েশিযার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
তুর্ক বলেছেন যে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আলোচনায় ব্যবসা এবং মানবাধিকার বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ব্যবসা এবং মানবাধিকার বিষয়গুলি আমাদের আলোচনার অংশ ছিল কারণ আমরা জানি যে যখন ব্যবসায় মানবাধিকার চর্চা করা না হয় তবে এটি ভবিষ্যতে (বিদেশী বিনিয়োগের) ক্ষতি করবে। ৪ জুন মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্ক এসব কথা বলেন।
অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণ বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে কিনা সে সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাবে তুর্কের এরূপ মন্তব্য এসেছে।
জাতিসংঘ এর আগে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর চাকরিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত অপরাধ এবং মানব পাচারের অধিক সংখ্যক ঘটনা থাকায় সে সম্পর্কে জাতিসংঘের উদ্বেগ মালয়েশিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এও বলা হয়েছে যে, বিদেশি কর্মীদের নিয়োগকারী সংস্থাগুলি মিথ্যা অজুহাতে মালয়েশিয়ায় আনা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের দুর্দশার দিকেও সাম্প্রতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যারা শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের আশা নিয়ে এসেছিলেন কিন্তু নিজেদেরকে দুর্দশাজনক পরিস্থিতিতে খুঁজে পেয়েছেন।
তুর্ক বলেন, অভিবাসন-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় ২০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি উদারতা লক্ষ্য করেছেন। তুর্ক মনে করেন, মালয়েশিয়া সমস্যা সম্পর্কে সচেতন আছে এবং সেগুলি মোকাবেলা করতে চায়।
তুর্ক বলেন, আমি বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জেনেছি যে বন্দীর জন্য কঠোর অবস্থা বিদ্যান এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় যা উদ্বেগজনক। এসব বিষয়ে তদন্ত করা দরকার ।