ঘূর্ণিঝড় রিমাল কুয়াকাটা সৈকতের শত শত গাছ উপড়ে ফেলেছে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৪, ১:০২:২৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রিমাল চলে গেলেও এর প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা বয়ে বেড়াতে হবে বহুদিন। রিমাল শেষ করে দিয়েছে কুয়াকাটা সৈকতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত গাছ। যে গাছ উপকূলের মানুষের বন্ধু হয়ে সব ঝড় জলোচ্ছ্বাসে বুক পেতে দিয়েছে। বুক পেতে ঝড়ের পুরো আঘাত নিজ বুকে সয়ে নিয়ে রক্ষা করে এ উপকূলকে। সেইসব গাছ নিজে মরে বাঁচিয়েছে এ জনপদকে।
কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। এ উদ্যানে ছিল শতশত ঝাউগাছ, কেওড়া ও শাল গাছ। পর্যটকরা এসে ছায়াতলে বসে সমুদ্রের গর্জন শোনা আর নির্মল বাতাসে বসে সমুদ্র উপভোগ করত। সেই জাতীয় উদ্যান সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে গেছে। গাছগুলো এলোপাতাড়ি পড়ে আছে। জাতীয় উদ্যান থেকে শুরু করে গঙ্গামতি পর্যন্ত সারি সারি গাছ সৈকতে পড়ে আছে।
দুর্যোগ আর বিপাকে বরাবরই উপকূলের ঢাল হিসেবে ছিল এসব বনের নানা গাছ গাছালি। সিডর, আইলা, ফনি, নার্গিস, মহাসেন, ফণি, বুলবুল, আম্পান, মখা, বুলবুল ও এবারের ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সব সময় গাছগুলো মাথা রক্ষা করেছে উপকূলকে।
পরিবেশ সংগঠন বেলার কলাপাড়া উপজেলার নেটওয়ার্ক মেম্বর সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহ মান্নু বলেন, গাছ আমাদের ছায়া। বারবার গাছের ওপর আঘাত আসাটা হুমকি স্বরুপ। যেভাবেই হোক গাছগুলো রক্ষা করা দরকার। আমাদের দাবি যে গাছগুলো উপড়ে পড়েছে সেগুলো যাতে অপসারণ না করা হয়। নতুন ভাবে গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করার এখনি সময় এসেছে।
পটুয়াখালী উপবন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা অপূরণীয়। যে গাছগুলো পড়ে গেছে তা আমরা ওইখান থেকে সরাব না। তাতে সয়েল ইরোসন কম হবে। ন্যাচারালি রিকভারি হবে। রিকভারি প্ল্যান হিসেবে আমরা ঝাউ গাছ লাগাব এ বছরেই।