অক্সফোর্ডের রোডস বৃত্তি, বছরে ২৮ লাখ টাকাসহ যেসব সুবিধা, আবেদন ৩ জুন থেকে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৪, ১:২৫:১২ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে এ বৃত্তি নিয়ে পড়তে পারবেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বৃত্তির নাম ‘রোডস স্কলারশিপ’। বাংলাদেশসহ অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এ বছরের ৩ জুন থেকে ১ আগস্টের মধ্য আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বৃত্তি ‘রোডস স্কলারশিপ’। রোডস বৃত্তি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আন্তর্জাতিক বৃত্তি প্রদান প্রকল্প। বৃত্তিটি ১৯০২ সালে চালু করা হয়। ইংরেজ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সেসিল রোডস এ বৃত্তি চালু করেন। বৃত্তির উদ্দেশ্য ছিল কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতে নাগরিক নেতৃত্বের গুণাবলি ও নৈতিক সাহস প্রতিষ্ঠিত করা। শুরুতে রোডস বৃত্তিটি কমনওয়েলথ সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর (সঙ্গে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রও ছিল) পুরুষ আবেদন প্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট করা ছিল। পরে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে নারীদের সুযোগ না দেওয়া, প্রতিষ্ঠাতা রোডসের ইঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে এ বৃত্তি প্রকল্পটি বিতর্কিত ছিল।
রোডস বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট, বব হক ও ম্যালকম টার্নবুল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনসহ একাধিক নোবেল পুরস্কার বিজেতা। বিতর্কিত হওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রোডস বৃত্তি প্রত্যাখ্যানও করেছেন।
সুযোগ সুবিধাগুলো—
সম্পূর্ণ টিউশন ফি মিলবে;
আবাসন সুবিধা থাকবে;
উপবৃত্তি হিসেবে বছরে ১৯, ০৯২ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ১১ টাকা) পাবেন। (১ পাউন্ড সমান ১৫০ টাকা শূন্য ১ পয়সা ধরে, ২৯ মে বিকেলের হিসেবে)
বিমানে যাতায়াতের টিকিট
ভিসা ফি
স্বাস্থ্যবিমাও পাবেন।
আরও পড়ুন ⇓
যুক্তরাজ্যের আগাম নির্বাচন: ৭৮ সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন না, বিড়ম্বনায় সুনাক
যোগ্যতা—
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর হতে হবে;
স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে;
ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে;
ইংরেজিতে আইইএলটিএসের দক্ষতা সনদ লাগবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র—
জীবন বৃত্তান্ত;
জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টের কপি;
একাডেমিক সব সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট;
সিভি;
ইংরেজিতে দক্ষতা সনদ (আইইএলটিএস);
রেফারেন্স লেটার।
আবেদন প্রক্রিয়া—
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।