মালয়েশিয়ায় সর্বত্র চলছে অভিযান! জোহর রাজ্যে ২৩ বাংলাদেশিসহ ৮৬ অভিবাসী আটক
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৫:২২:৫৮ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে শত শত অভিবাসীকে আটক করছে সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানা গেছে, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যৌথভাবে মালয়েশিয়ার সর্বত্র এই অভিযান চালাচ্ছে। তবে বেশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে জোহর রাজ্যে।
মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একযোগে ৩ দিনের অভিযানে ৮৬ জন অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন পুলিশ। ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত জোহর জুড়ে অভিযানে এদের আটক করা হয়।
২২ মে, জোহর স্টেট অভিবাসনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ ফয়জল বিন শামসুদীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জোহর রাজ্যে ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসারদের একটি দল, বাতু পাহাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং সেগামাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ৪২ টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
বৈধ পাস/পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের বিষয়ে অভিযোগ এবং জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যের হটস্পট এলাকায় অপস সাপু, অপস সেলেরা, অপস পিন্টু, অপস মাহির এবং অপস পিক আপের মতো বিভিন্ন নামে এ অভিযান চালানো হয়।
জোহর বাহরু জেলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইন্দোনেশিয়ার ১৯ জন পুরুষ, ১১ জন মহিলা এবং একজন মেয়ে, মায়ানমারের ১৯ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা, বাংলাদেশের ৯ , পাকিস্তানের ৪ ও ভারতের ১ জন। আটকদের বয়স ৬ মাস থেকে ৫১ বছর বছর এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজন ৪৯ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যক্তি যিনি প্রাঙ্গনের মালিক এবং নিয়োগকর্তা।
বাতু পাহাত জেলায়, আটককৃতদের মধ্যে ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৪ জন বাংলাদেশী ।
সেগামাতে, আটককৃতরা হলেন, ৩ ইন্দোনেশিয়ান মহিলা এবং ২ জন পাকিস্তানি, যাদের প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে। একজন ৪০-বছর-বয়সী একজন দাসীকেও আটক করা হয়েছে। যে তার আসল নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
আটককৃতরা, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে মালয়েশিয়ায় বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য একটি অপরাধ করেছে, ১৫(১)(সি) বেশি থাকার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫), ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর রেগুলেশন ৩৯(বি) যা পাসপোর্ট শর্ত লঙ্ঘন করেছে। যদিও আটককৃত দুই স্থানীয় নাগরিক বিদেশীদের সুরক্ষার জন্য অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে একটি অপরাধ করেছে। সমস্ত আটকদের তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ অবৈধ অভিবাসীদের আগমনের সমস্যা মোকাবেলায় রাজ্যে প্রয়োগের প্রচেষ্টা জোরদার করতে থাকবে। বৈধ ভ্রমণ নথি এবং পাসপোর্ট/পারমিট ছাড়া বিদেশী কর্মীদের নিয়োগকারী অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি নিয়োগকর্তা এবং প্রাঙ্গনের মালিকদের বিরুদ্ধে আপসহীন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জোহর স্টেট অভিবাসনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ ফয়জল বিন শামসুদীন বিবৃতিতে জানিয়েছেন।