পিছিয়ে সুনাকের দল, কে হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৯:১০:৪০ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমারও থেমে নেই। দুই নেতাই ভোটারদের নিজ নিজ দলে ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কোনো অনুমান করা না গেলেও, জনমত জরিপে চমক দেখা যাচ্ছে।
দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, চলতি বছরেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে জোর প্রচারণা শুরু করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির কেয়ার স্টারমার। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারণা চালান দুই জন।
এদিকে জনমত জরিপে দেখা গেছে, ১৪ বছর শাসন করার পর অনেকটা পিছিয়ে আছে সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টির তুলনায় কনজারভেটিভ পার্টি ২০ শতাংশ পিছিয়ে আছে।
অন্যদিকে, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে দলের অনেককেই একইসঙ্গে অবাক ও ক্ষুব্ধ করেছেন ঋষি সুনাক। বৃহস্পতিবার প্রচারণায় গিয়ে সুনাক জানান, ব্রিটেনের অর্থনীতি একটি কোণে ঘুরছে এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় তার একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
কিন্তু তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গত তিন বছরে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় ভোটারদের বোঝানো কঠিন হতে পারে যে, ব্রিটেন সঠিক পথে রয়েছে।
আর লেবার নেতা স্টারমার দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের গিলিংহামে প্রথম দিনের প্রচারণায় ভোটারদের বলেছেন, বিজয়ী হলে তিনি ব্রিটেনকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। লেবার পার্টিকে ভোট দেয়ার অর্থ হলো, বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে এবং জীবনমুখী নীতির পক্ষে ভোট দেয়া।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর পরপর যুক্তরাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শেষ জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই হিসেবে ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দেশটিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। সাধারণ নির্বাচনেও তারা সুবিধা করতে পারবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সুনাক।