গ্রেফতার হলেন পাচারের শিকার হয়ে পরে নিজেই কুখ্যাত মানব পাচারকারী, যুক্তরাজ্যে ওয়ান্টেড
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৪, ৯:৪৯:২১ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা ইউরোপের অন্যতম কুখ্যাত মানব পাচারকারী বারজান মাজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
বারজান মাজিদকে নিয়ে সম্প্রতি বিবিসি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে। এতে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে তিনি এবং তাঁর চক্রটি ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ও লরি দিয়ে মানব পাচার ব্যবসার সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।
কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে বারজানের খোঁজ পায় বিবিসি। তিনি স্করপিয়ন নামেও পরিচিত। বারজান বলেন, তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় বারজানের নাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা যখন অবৈধ অভিবাসীদের আটক করেন, তখন তাঁদের মুঠোফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে সন্দেহজনক একটি নম্বরই বারবার সামনে আসছিল। ওই মুঠোফোনগুলোয় নম্বরটি স্করপিয়ন নামে রাখা ছিল। কখনো কখনো একটি কাঁকড়াবিছার ছবি দিয়েও নম্বরটি সেভ করা হয়েছিল।
এই স্করপিয়ন কে, তা আমাদের কাছে খোলাসা করেছিলেন মার্টিন ক্লার্ক নামের যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির একজন জ্যেষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, তদন্তের একপর্যায়ে বোঝা যায়, স্করপিয়ন আসলে বারজান মাজিদ নামের এক কুর্দি ইরাকি।
২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহামে গাড়ি মেরামতের কাজ করতেন বারজান মাজিদ
মাজিদ কিন্তু নিজেই পাচারের শিকার হয়েছিলেন। সে ২০০৬ সালের ঘটনা। তখন তাঁর বয়স ২০ বছর। একটি লরিতে করে তাঁকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক বছর পর তাঁকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলা হয়। যদিও আরও কয়েক বছর যুক্তরাজ্যে থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে কিছু সময় নানা অপরাধে কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে মাজিদকে ইরাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছু সময় পর মানব পাচারের জগতে পা রাখেন তিনি। স্করপিয়ন নামে তাঁর পরিচিত বাড়ে। ধারণা করা হয়, বড় ভাইয়ের হাত ধরেই এ অপরাধে জড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর বড় ভাই তখন বেলজিয়ামের কারাগারে সাজা খাটছিলেন।