শিশু জিহাদকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২৪, ৭:২৩:১৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নারীর আহত শিশুসন্তান জিহাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আহত শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শিশুটিকে তারা মামা নিজের জিম্মায় নিতে আগ্রহী হওয়ায় সুস্থ হওয়ার পর উপযুক্ত অবিভাবক হিসেবে প্রমাণসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার মামার কাছে দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আর্জির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আদেশের বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, শিশু জিহাদের নিহত মা জায়েদা (৩০) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কুসিউড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি আইডিয়াল মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মামার কোলে শিশু জিহাদ। শিশু জিহাদের নিহত মা জায়েদা (৩০) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কুসিউড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে দুর্ঘটনার শিকার হন জায়েদা ও জিহাদ। দিবাগত রাত ৩টার দিকে জায়েদাকে শিশুসন্তানসহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কয়েকজন লোক তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখেই দ্রুত চলে যান। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টার দিকে জায়েদার মৃত্যু হয়।
শিশু জিহাদকে ভর্তি করা হয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। মায়ের মৃত্যুর পর শিশুটির কান্না দেখে তাদের পরিচয় শনাক্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হলে শনিবার রাতে পরিচয় শনাক্ত হয়।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (১২ মে) জায়েদার মরদেহ তার ভাইয়ের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করলেও শিশু জিহাদ হোসেনকে হস্তান্তর করা হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তবে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশুটির মামা রবিন মিয়া। রোববার বোনের মরদেহ ও ভাগনেকে নিতে হাসপাতালে আসেন রবিন মিয়া।