প্রচারণা শেষ, সিলেটের চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ ৮ মে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৪, ১১:০৪:৩৮ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চার উপজেলায় মোট ৫৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের জন্য ওই সব উপজেলায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করার নিয়ম অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
রোববার (৫ মে) জারি করা এক নির্দেশনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো বিষয় কোনো প্ৰাৰ্থী বা কোনো ব্যক্তির নজরে এলে তারাও স্ব-উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অথবা উপযুক্ত ক্ষেত্রে থানায় বা ফৌজদারি আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বা নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে এরইমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনো উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি হলে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণ ও বিধিমালায় এবার বেশ কিছু সংশোধনী এনেছে নির্বাচন কমিশন। সেসব নিয়ম অনুযায়ী এবারই প্রথম এই নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। নির্বাচনে সাদা-কালো বা রঙিন পোস্টার, ব্যানার করার বিধান আনা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সাল থেকে নির্বাচনি প্রচারে রঙিন পোস্টার করা বন্ধ ছিল। প্রতীক বরাদ্দের আগে এত দিন প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগ পেতেন না। এবার প্রতীক বরাদ্দের আগেও সীমিত পরিসরে এবং ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচার চালাতে পারছেন প্রার্থীরা।