টাকা বিতরণকালে মধ্যরাতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১

অনুপম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২৩ লাখ টাকা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।

আরও পড়ুন—

হজ ভিসায় নতুন নিয়ম আরোপ সৌদি আরবের

এর আগে সোমবার সাড়ে রাত ১২টার দিকে সুজানগর উপজেলার চরভবানীপুর মুজিব বাঁধের ওপর থেকে তাদের আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের টহল টিমের সদস্যরা।

কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের অংশ হিসেবে টহলরত অবস্থায় শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। এ সময় শাহীনের কাছ থেকে দুটি ব্যাগভর্তি প্রায় ২২ লাখ ৮২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। টাকা বহনে ব্যবহৃত শাহীনের একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

২০১৯ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বচিত হয়েছিলেন শাহিনুজ্জামান শাহীন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, টাকাগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে শাহিনুজ্জামান শাহীন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আটকদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে শাহীনের আটকের খবরের পর পরই তার সমর্থকরা সুজানগর থানার সামনে অবস্থান নেন এবং তার মুক্তির দাবি জানান।

আগামী ৮ মে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব (মোটরসাইকেল)।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবুল কাশেম মাস্টারের কনিষ্ঠতম পুত্র শাহিনুজ্জামান শাহিন ২০১৯ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।