কানাডায় শিখ নেতা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মন্তব্য জয়শঙ্করের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০২৪, ১:৪৯:১১ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে তিনজনের গ্রেপ্তার নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তার দাবি, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডায় যা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে হচ্ছে। সেই সব বিষয়ের সঙ্গে ভারতের বিন্দুমাত্র যোগসূত্রও নেই। তাছাড়া তিন ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কানাডার পক্ষ থেকে ভারতকে কিছু জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। খবর এনডিটিভি।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্যও খারাপ হয়েছে। ভারত-কানাডা সম্পর্কেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর শুক্রবার যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নিয়ে কানাডা এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। তবে আমি যা শুনেছি, ওই সন্দেহভাজন তিনজনের নাকি ভারতীয় গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার ইতিহাস রয়েছে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কেন নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে ভারতের সমালোচনা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর জানান, কানাডার গণতন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে খালিস্তানপন্থিদের একটি অংশ। লবি তৈরি করেছে। তারা পরিণত হয়েছে ভোটব্যাংকেও। কানাডার সংসদে এখন দেশটির শাসক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আর কয়েকটি দল তো এই খালিস্তানপন্থিদের উপর নির্ভর করে টিকে আছে। তাই ক্ষমতাসীন দল খালিস্তানিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তারপর থেকেই ভারত-কানাডার সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। ট্রুডোর অভিযোগকে অযৌক্তিক ও প্রভাবিত বলে দাবি করে নয়া দিল্লি।
এস জয়শঙ্কর বলেন, কানাডা আমাদেরকে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দেয়নি। তাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলোও আমাদের সহযোগিতা করছে না। তবে এটা পরিষ্কার যে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকেই ভারতকে দোষারোপ করছে ট্রুডো সরকার। যেহেতু কানাডায় নির্বাচন আসছে, তাই তারা ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কানাডার ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্য ও অফিসার ইনচার্জ মনদীপ মুকার বলেন, এখানেই তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমি জানি যে এই ঘটনায় অন্যান্যরাও যুক্ত আছেন ও হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে আমরা বদ্ধপরিকর। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কেউ তিন বছর আবার কেউ পাঁচ বছর ধরে কানাডায় অবস্থান করছেন। ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।