নির্বাচনী সহিংসতা, গুলিতে নিহত ১
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৪৩:৫০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আমিজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে শটগানের গুলিতে হাজী মোহাম্মদ আলী নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে শটগানের গুলিতে তিনি নিহত হন।
নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী বিরল উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাহামুদ বক্সের ছেলে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ জানান, সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জবাইদুর রহমান ২০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের সমর্থকরা মেনে না নিয়ে কেন্দ্র প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে ৫০ থেকে ৬০ রউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন হাজী মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছেন। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি।
এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজন কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী জবাইদুর রহমানের চাচা। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য হাসাপাতালে হিমঘরে রাখা হয়েছে।