এক পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু, বিদ্যুতের ৪ কর্মকর্তা শাস্তির আওতায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০:৪৪ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে পড়ে ছয়জন নিহতের ঘটনায় ৪ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় এনেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
গত ২৬ মার্চ জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক পরিবারের ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সোহেল রানা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হুদা ও জুড়ী কার্যালয়ের ইনচার্জ রেজাউল করিম তালুকদার।
এর মধ্যে সোহেল রানা চৌধুরীকে পবিসের সিলেটে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়, আশরাফুল হুদাকে কুমিল্লার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং রেজাউল করিম তালুকদার কে বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষানবিশ লাইনম্যান মো. আশিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক একরামুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়।
এর আগে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আরইবির পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটির সদস্যদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।অপর দিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো আব্দুস সালাম চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেই কমিটির প্রধান মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো আব্দুস সালাম চৌধুরী জানান, আমাদের দুইজন সদস্যের সমস্যা থাকার কারণে দুইদিন সময় বেশি নেওয়া হয়েছিল।
গত ২৬ মার্চ জুড়ীর পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমানের টিনের ঘরের উপর দিয়ে পরিবাহিত হওয়া পল্লী বিদ্যুতের ১১০০ ভোল্টেজের তার ছিঁড়ে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। ছয় সদস্যের মধ্যে একমাত্র বেঁচে যাওয়া মেয়ে সোনিয়া সুলতানা পরদিন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যায়।