মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১:১১:২৭ অপরাহ্ন
হাইকমিশনার এবং তার সহধর্মিণী, পেন্ডোরা চৌধুরী অতিথি ও শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। ছবি: সংগৃহীত।
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
১৭ মার্চ রোববার মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসানের নেতৃত্বে প্রথমে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এবং পরে আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রবাসী নেতাদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর দূতাবাস প্রাঙ্গণে সবার অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান।
আরো পড়ুন ➡️
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৫৮ অবৈধ অভিবাসী আটক
পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এরপর হাইকমিশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বাণী পাঠ শেষ হলে হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার বক্তৃতার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তার বক্তৃতায় শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন।
চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান এবং তার সহধর্মিণী, পেন্ডোরা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।
শৈশব থেকেই শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দৃশ্যমান অকৃত্রিম ভালোবাসা পরিণত বয়সে তা মহান নেতার রাজনৈতিক দর্শন মানুষের প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কীভাবে প্রতিফলিত হয়, তার ওপর হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আলোকপাত করেন।
তিনি এ প্রসঙ্গে শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা ‘ নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য , শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
আলোচনা সভার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। হাইকমিশনার এবং তার সহধর্মিণী, পেন্ডোরা চৌধুরী শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।
এরপর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে হাইকমিশনের মিলনায়তনটি উৎসবের সাজে সাজানো হয়। বেলুন, রকমারি রঙিন পোস্টার, প্রতিকৃতি প্রভৃতি দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হলটিতে প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন একটি আনন্দঘন আবহ তৈরি করে। সবশেষে, বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলুন উড়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও তাদের শিশুসন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।