যুক্তরাজ্যের আদালতে শামীমা আবার হেরে গেলেন, সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৬:২৯ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের আদালতে শামীমা বেগম আবার হেরে গেলেন। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অধীনে থাকার জন্য স্কুলছাত্রী হিসাবে ব্রিটেন ছেড়েছিলেন শামীমা। তার বিরুদ্ধে আপিল আদালতের রায়ের পরে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব অপসারণের সিদ্ধান্ত বাতিল করার নতুন প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন, সেটি ব্যর্থ হয়েছে।
তিন জন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব, সাজিদ জাভেদ, ২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডন থেকে সিরিয়ায় দুই বন্ধুর সাথে গোপনে ভ্রমণ করার সময় তিনি শিশু পাচারের শিকার হতে পারেন এমন যুক্তি সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
রায় দেয়ার সময় বিচারক সু কার বলেন, এই যুক্তি দেয়া যেতে পারে যে, শামীমা বেগমের মামলায় দেয়া সিদ্ধান্তটি কঠোর ছিল, এটিও যুক্তি দেয়া যেতে পারে যে, শামীমা নিজেই নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী৷
তিনি আরও বলেন, এই আদালতের কাজ উভয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হওয়া বা না হওয়া নয়, আমাদের একমাত্র কাজ হলো বঞ্চনার সিদ্ধান্তটি বেআইনি ছিল কিনা, তা মূল্যায়ন করা। আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি (বেআইনি) ছিল না এবং আপিল খারিজ করা হয়েছে।
শামীমা চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার সলিসিটর দানিয়েল ফারনার।
এর আগে, ২০১৯ সালে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ‘জনকল্যাণের স্বার্থের’ দাবি তুলে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেন। পরে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশন সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর সেই সিদ্ধান্তের বিপরীতে আদালতে আপিল করেন শামীমা।
শামীমার পরিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি তার স্কুলের দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ায় যেতে পূর্ব লন্ডনের বাসা ছাড়েন। পরে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেন শামীমা। সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়। তবে সন্তানেরা কেউ বেঁচে নেই।