বিশাল প্যানজিয়া মহাদেশ ভেঙে তৈরি হওয়া আটলান্টিক মহাসাগর পাল্টাবে রূপ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২:০০:৫১ অপরাহ্ন
অনুপম বিজ্ঞান ডেস্ক: প্রকৃতিতে পরিবর্তন নিত্য ঘটে চলেছে। এক সময় বর্তমান ভারত উপমহাদেশটাই ছিল না, ছিল মহাসমুদ্র। সেই মহাসমুদ্র থেকে গজিয়েছিল হিমালয় পর্বতমালা। সরে গেল সমুদ্রের পানি হয়ে যায় বিশাল স্থলভাগ।
প্রকৃতি তার নিয়মেই রূপ বদলায়। এই রূপের বদল অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজ যেখানে রাজপুরী বহু বর্ষ পর সেখানে দিয়ে বয়ে যেতে পারে মহাপ্লাবন বুকে ধরা জলাধার। আবার আজকের উন্মত্ত অকূল সাগরও সময়ের বিবর্তনের হয়ে যেতে পারে ধুধু মরুভূমি। পৃথিবীতে এরকম বহু নজির আছে। বহমান জীবন সেসব পরিবর্তন কাঁধে করেই আগায়। তবে সব বদল কেবল প্রকৃতির খেয়ালে হয় না। কখনো কখনো এই পরিবর্তনের পেছনে মানুষের দায় থাকে।
আরও পড়ুন—
যুক্তরাজ্যসহ ২৯ দেশের নাগরিকদেরকে ভিসা ছাড়াই ওমরার সুযোগ
বিজ্ঞানীরা দিলে নতুন খবর। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আটলান্টিক মহাসাগরের বদলে যাবে। নতুন গবেষণার ফল সামনে এনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের জিব্রাল্টার স্ট্রেইটের নিচেই রয়েছে সাবডাকশন জোন। যা মূলত দুই মহাদেশের টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল। আর সে কারণেই ভবিষ্যতে বড় আকারের আটলান্টিক সাবডাকশন সিস্টেম গঠিত হবে। তার ফলেই তৈরি হবে আটলান্টিক রিং অব ফায়ার। তবে খুব সহসাই এই বদল আসছে না। বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, এই পরিবর্তন আসতে কেটে যাবে অন্তত দুই কোটি বছর।
প্রায় মানুষের মতোই আবর্তিত হয় মহাসাগরের নীচের জীবনচক্র। মহাসাগর তৈরি হয়। এরপর ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। তারপর একদিন আসে তার রূপ বদলের পালা। যদিও সেই পরিবর্তন খুব সময় সাপেক্ষ। লেগে যেতে পারে কয়েক কোটি বছর। এই প্রক্রিয়ার নাম উইলসন সাইকেল। বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, প্রায় ১৮ কোটি বছর আগে বিশাল মহাদেশ প্যানজিয়া ভেঙে তৈরি হয় আটলান্টিক মহাসাগর। সেই বিবর্তনের খেলায় এই মহাসাগরও একদিন রূপ পাল্টাবে।
জিওলজি জার্নালে আটলান্টিক মহাসাগরের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোয়াও ডুয়ার্তে বলেন, এই বিষয়কে সাবডাকশন ইনভেশন বলে। উন্নত মডেলিং টুলস ও সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। জিব্রাল্টারের গঠনকে বিশদভাবে বিশ্লেষণ করে আটলান্টিকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। গত কয়েক কোটি বছরে পুরো প্রক্রিয়াটি বেশ ধীরগতিতে এগিয়েছে।