এআই-র সহায়তায় উপন্যাস, পেলেন দেশটির সাহিত্য পুরস্কার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭:০৪ অপরাহ্ন
অনুপম সাহিত্য ডেস্ক: জাপানের সাহিত্যিক রি কুদান স্বীকার করেছেন যে তার ফিউচারিস্টিক নোবেল, যা সম্প্রতি দেশটির সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার জিতেছে, লিখতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) সহায়তা নিয়েছেন। এআই ব্যবহার করে উপন্যাস লিখে তিনি তার সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেছেন কুদান।
উপন্যাসটি ভবিষ্যৎ টোকিও শহরের একটি সুউচ্চ কারাগারের টাওয়ার নির্মাণ ও এর নির্মাতার অপরাধীদের প্রতি অসহিষ্ণুতার গল্পকে উপজীব্য করে লেখা।
রি কুদানের টোকিও-টু দোজো-টু (টোকিও সিমপ্যাথি টাওয়ার) উপন্যাসটি জাপানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুধু পাঠকদের কাছেই নয়, জাপানের বোদ্ধা শ্রেণির কাছেও উপন্যাসটি সর্বজনীনভাবে উপভোগ্য হওয়ায় গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) উপন্যাসটিকে দেশটির সম্মানজনক আকুতাগাওয়া পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন—
ব্যাংক এশিয়া চাকরি দিচ্ছে, অভিজ্ঞতা লাগবে না
আকুতাগোয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩৩ বছরের রি কুদান অকপটে স্বীকার করেন যে, তার এই উপন্যাস ৫ শতাংশ ট্যাটজিপিটির প্রত্যক্ষ সহায়তা নিয়ে লিখেছেন তিনি। কুদান আরও বলেন, সৃজনশীল লেখালিখি ছাড়াও এআইর সঙ্গে খেলেন তিনি। তার একান্ত ভাবনাগুলো যা কারো সঙ্গে তিনি শেয়ার করেন না, সেগুলো এআইর চ্যাটবটে লেখেন। চ্যাটজিপিটি কখনও কখনও তার এই ভাবনাগুলোর জবাব দেয় যা তিনি তার উপন্যাসে ব্যবহার করেন।
কুদান বলেন, ভবিষ্যতে তিনি যাতে লেখায় আরও ভালো করতে পারেন সে জন্য এআইর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখবেন।
কুদানের উপন্যাসে এআইর ব্যবহার করা নিয়ে তার স্বীকারোক্তির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদল তার লেখায় এআই টেকনোলজির সৃজনশীল ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন। অন্য দল বলেছে কুদান সাহিত্যের এই সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটির মতো এআই প্রোগ্রাম আসার পর কোনো নিবন্ধ বা আর্টিকেল লেখা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। চ্যাটবটে কিছু লিখে অনুরোধ করলেই সেকেন্ডের মধ্যেই লেখা এসে হাজির হবে আপনার সামনে। তাই লেখালিখি ছাড়াও মুভি স্ক্রিপ্ট, গবেষণা পেপারস তৈরি করাসহ বিভিন্ন সেক্টরে এআইর নৈতিক ব্যবহার নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।