গ্যাসের তীব্র সংকটের আসল কারণ কি? যা জানালো এবি পার্টি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২:২১:৪০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি – এবি পার্টি। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানাসহ বাসা-বাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে।
ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরো কঠিন হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতের সংকটকেই প্রধান সংকট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট, যা এই অর্থবছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধসে পড়তে পারে।’
সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের এসব কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানিনির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধু সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরার সুবিধার্থে। আমরা মনে করি, নিজেদের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কর্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানিনির্ভর জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত।
আরও পড়ুন—
যুক্তরাষ্ট্রের ইংগিত ভিন্ন রকম, তাহলে কী আছে বাংলাদেশের ভাগ্যে?
সমাপনী বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। আর জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংকট সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমান বাংলাদেশের সকল সমস্যা সমাধানে এই অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্যসচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুব পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শীলা আক্তার, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।