কান্না যেভাবে উপকার করে শরীর মনের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫:২৯ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: মানুষের হাসি কান্না দুই উপকারী। কান্না আবেগের স্বাভাবিক এক প্রতিক্রিয়া। যদিও আমরা প্রায়ই বলি মানুষ দুঃখ পেলে কাঁদে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। অনেক আনন্দ হলে, কখনও কখনও রাগ এবং ক্ষোভ হলেও কান্না আসে।
ভারতীয় থেরাপিস্ট আনা পাপাইওনাউয়ের মতে, কান্না একটি স্বাস্থ্যকর, স্বাভাবিক আবেগ যা ব্যথা কমাতে, চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে কান্নার বিভিন্ন ধরন এবং কীভাবে কান্না চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে সেসব জানিয়েছেন থেরাপিস্ট আনা।
কান্নার উপকারিতা
ব্যাজাল টিয়ারস: এই ধরনের অশ্রু হল মৌলিক অশ্রু যা চোখে সারাদিনই থাকে। এই অশ্রুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত আইসোজাইম নামক তরল থাকে। ব্যাজাল টিয়ার চোখকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
আবেগের অশ্রু: এতে থাকে স্ট্রেস হরমোন। এই অশ্রু মানসিক চাপ কমায়।
প্রশান্তিদায়ক প্রভাব: কান্না স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে মনে এক ধরনের প্রশান্তিদায়ক প্রভাব পড়ে। কান্না প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে।
সমবেদনা প্রকাশ: কান্নার মাধ্যমে আরেকজনের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ পায়।
ব্যথার কান্না: ব্যথা পেলে কান্না আসা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কাঁদলে এন্ডোরফিন এবং অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়। ফলে ব্যথা কমে।
চোখ পরিষ্কার করে: চোখের জল চোখ পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
দৃষ্টি উন্নত করে : কান্না চোখকে আর্দ্র রেখে দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
স্ট্রেস কমায়: কান্না শরীরের স্ট্রেস হরমোন বের করার একটি ভালো উপায়। কান্নার পর মানসিক চাপ অনেকটা কম অনুভূত হয়।