শিউলির ঘ্রাণ ও বহু ঔষধি গুণ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: মিষ্টি ঘ্রাণ আর মন ভালো করে দেওয়া রঙ তো আছেই, আরও আছে বহু ঔষধি গুণ শিউলির। জেনে নেওয়া যাক শিউলি ফুলের উপকারিতা—
—ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শিউলি গাছের দু-তিনটি পাতা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। মুখে দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে যতটুকু রস পাওয়া যায় তা খেয়ে নিন। রস খেয়ে বাকি অংশ ফেলে দিন। আপনার কাশিতে যদি কফ বের হয় তবে এর চেয়ে ভালো ওষুধ বাজারে খুব বেশি নেই। এর রস যদিও অত্যন্ত তেতো প্রকৃতির, কিন্তু তা নিয়মিত খেলে কাশির তীব্রতা তো কমবেই, গায়েব হবে কফের চিহ্নও।
—সাইটিকার ব্যথা কমাতে শিউলির পাতা কার্যকর। কয়েকটি শিউলি পাতা ও আরও কয়েকটি তুলসী পাতা একসাথে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর তা ছেঁকে প্রতিদিন ১ চামচ করে সকাল ও সন্ধ্যায় নিয়মিত খান। আপনার সায়াটিকা ব্যথা থাকলে তা কমতে শুরু করবে। নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ খেলে এই ব্যথা দূর হবে।
—প্রতিদিন সকালে চায়ের মতো এক কাপ পানিতে দু’টি শিউলি পাতা ও দু’টি তুলসী পাতা ফুটিয়ে, ছেঁকে নিয়ে তা পান করুন। এতে আপনার আর্থারাইটিসের ব্যথা কমবে।
—শিউলির চা পান করলে জ্বর কমে। শুনে অবাক হচ্ছেন? দীর্ঘস্থায়ী জ্বর কমাতে শিউলির চা পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ম্যালেরিয়ার সময় শিউলি পাতা বেটে খেলে রোগের উপসর্গগুলো কমতে শুরু করে। ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইটগুলো নষ্ট হয়, রক্তে প্লেটিলেটের সংখ্যা বাড়ে।
—শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শিউলি ফুল ও পাতার নির্যাস খান। কারণ এতে শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ হয়।
—ব্রণ দূর করতে দারুণ কাজ করে শিউলি। কারণ শিউলিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটারি গুণ। যা আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী।
—মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে? চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার জন্য আছে শিউলি ফুল। শিউলির তেল মাথায় ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুল গজায়।
—আপনার যদি কারণে-অকারণে গলার আওয়াজ বসে যায় তবে আপনি শিউলি পাতার রস ২ চামচ পরিমিত মাত্রায় গরম করে দিনে দুই বার কয়েকদিন খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
—আপনার কি ক্রিমির সমস্যা আছে? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তবে দেরী না করে শিউলি পাতার রস অল্প গরম করে নিয়মিত কয়েক দিন খান। সমস্যার সমাধান পাবেন।
—যাদের শরীরে মেদ জমে গেছে, ব্যায়াম করেও ভালো ফল পাচ্ছেন না, তাদের জন্য দারুণ খবর হলো— শিউলি গাছের ছালের চূর্ণ সকালে ও বিকালে গরম পানিতে খেলে মেদ কমে।