ঔষধ প্রশাসন ৪৪ রকমের হার্টের রিংয়ের দাম কমালো
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:১৪:৩৩ অপরাহ্ন
সব হাসপাতালে নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের তালিকা প্রদর্শন করতে হবে
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে ব্যবহৃত ২৭টি কোম্পানির ৪৪ ব্র্যান্ডের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এর ধারা ৩০ (১) অনুসারে হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হলো। কার্ডিয়াক চিকিৎসা দেওয়া সব হাসপাতালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব হাসপাতালে নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা নিতে হবে। হার্টের রিংয়ের নাম, খুচরা মূল্য এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখ করে ক্যাশ মেমো দিতে হবে। রোগীকে ব্যবহৃত রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। রিংয়ের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক রাষ্ট্রের নাম এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকতে হবে। যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সে অনুসারে নির্দেশনা দিতে পারেন।
রিংয়ের খুচরা দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।
বহুল ব্যবহৃত যে-সব রিংয়ের দাম কমেছে সেগুলো হলো- পোল্যান্ডের অ্যালেক্স প্লাসের দাম ৬২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে ৫৩ হাজার টাকায় নেমেছে।
আয়ারল্যান্ডের জিয়েন্স প্রাইম ৭২,৫০০ টাকা থেকে কমে ৬৬,৬০০ টাকা হয়েছে। একই কোম্পানির জিয়েন্স এক্সপেন্ডিশন ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৮ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং জিয়েন্স অ্যালপাইন ১ লাখ ৪৯ হাজার থেকে কমে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
জার্মানির জিলমুসের দাম ৬০ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। আয়ারল্যান্ডের মেডট্রোনিকের রেজোলুটে ওনিক্সের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা থেকে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আমেরিকার বোস্টন সায়েন্টেফিকের প্রোমুস প্রিমিয়ারের দাম ৭৫ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৭৩ হাজার টাকা, প্রোমুস এলিটের দাম ১ লাখ ১২ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৯৩ হাজার টাকা এবং একই কোম্পানির সিনার্জি ব্র্যান্ডের রিংয়ের দাম ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা।
সুইজারল্যান্ডের বায়োম্যাট্রিক্স নেওফ্লিক্সের দাম ৬২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৮ হাজার টাকা। একই কোম্পানির বায়োম্যাট্রিক্স আলফা ৮৬ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন—
হাতের আঙুলের নোখ দেখে বোঝা যায় স্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যা
নেদারল্যান্ডসের অ্যালবুমিনাস ডিইএস প্লাসের দাম ৭২ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা।
সুইজারল্যান্ডের বায়োফ্রিডম ৬৫ হাজার, প্রি-কিনেটিক ১৫ হাজার টাকা, আইট্রিক্স ৩৬ হাজার টাকা, ওসিরা মিশন ৬৫ হাজার টাকা, আয়ারল্যান্ডের ডিইএসওয়াইএনসি ৫৫ হাজার, সুপরাফ্ল্যাক্স ৫৩ হাজার, জাপানের আল্টিম্যাস্টার ৬০ হাজার, স্পেনের এনজিওলাইট ৫৩ হাজার, আইভাসকুলার এনজিওলাইট ৫৩ হাজার টাকা, আইএইটি ডেস্টিনি ৫৩ হাজার টাকা, নেদারল্যান্ডের কমবো প্লাস ৫৩ হাজার টাকা, ভারতের বায়োমিমে ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন-৫০ ৪০ হাজার টাকা, মেটাফোর ৩৫ হাজার টাকা, জার্মানির সিসি ফ্লাক্সে ১৫ হাজার টাকা, ইকা লিমুস ৫৩ হাজার টাকা, ইউকোন চয়েজ পিসি ৫৩ হাজার টাকা, অর্থস পিকো ১৫ হাজার টাকা, আবিরস ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্লিক্স আইএসআইআর ৫৩ হাজার টাকা, ম্যাগমা ৩৭ হাজার টাকা।
সুনা স্ট্যান্ট ১৪ হাজার টাকা, যুক্তরাষ্ট্রের কোবাল্ট ক্রোমিয়াম ৫৫ হাজার টাকা, ডিরেক্ট স্ট্যান্ট সিরো ৫৫ হাজার টাকা, ডিরেক্ট স্ট্যান্ট ২০ হাজার টাকা, দক্ষিণ কোরিয়ার জিনোস ডিইএস ৪৫ হাজার টাকা, ইতালির অ্যাভেন্টগার্ড ১৫ হাজার টাকা, সিআরই-৮ ৫৩ হাজার টাকা, পোল্যান্ডের অ্যালেক্স ৫৩ হাজার টাকা, ফ্রান্সের এ্যামাজোনিয়া ৫৩ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক (আইন কর্মকর্তা) মো. নুরুল আলম বলেন, কেউ যদি বেশি দামে হার্টের রিং বিক্রি করে তাহলে দু’বছরে জেল অথবা দু’লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় কোনো প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে হার্টের রিং বিক্রি করছে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।