হবিগঞ্জ: বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিতে নতুন অধ্যায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:০২:০৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: শিগগির চালু হতে যাচ্ছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দেশের ২৩তম বাল্লা স্থলবন্দর।
চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। বন্দরটি চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্যিক আমদানি-রপ্তানির নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাল্লা স্থলবন্দর ১৯৫১ সালে ৪ দশমিক ৩৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
প্রায় ৭১ বছর পর ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে কয়েক বছর আগে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করে সরকার। স্থলবন্দরের অবস্থান উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারকোট মৌজায়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সীমানা প্রাচীর, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, গোডাউন, প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট, ব্যারাক, আবাসিক এলাকা, ইয়ার্ডসহ প্রায় ২৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। এখানে ডকইয়ার্ড, ওয়্যার হাউস, মেজারমেন্ট স্কেল স্থাপন, ব্যাংক, বিমা, মানি চেঞ্জারসহ আরও অনেক স্থাপনা হবে।
তারা আরও জানান, দেশের প্রয়োজনীয় স্থাপনাগুলোর কাজ সমানতালে এগিয়ে গেলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই বন্দরটি চালু হবে।
এদিকে স্থলবন্দরের চার দেয়ালের ভেতরে চারটি পরিবার বসবাস করছে। ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় তারা এখানে রয়ে গেছেন বলে তারা জানান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন ইন্টারন্যাশনাল ও সনিক্স এন্টারপ্রাইজ বন্দরের আধুনিকায়নের কাজ করছে।
সনিক্স এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক জানান, এটি একটি স্বপ্নের প্রকল্প। গুণগত মান ঠিক রেখে শিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে বন্দর উন্নয়নের কাজ শেষ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, কার্যত ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এজন্য স্থানীয় লোকজন অত্যন্ত আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে এলাকার যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সুজন আহমেদ জানান, বন্দরটি চালু হলে শুধু পণ্য আনা-নেওয়ার কাজই নয়; এদিকে লোকজন আসা-যাওয়াও করবে। এতে দুই দেশে সম্পর্কের ভীত আরও মজবুত হবে।
চারটি পরিবারের বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছে। বৈধ কাগজ নিয়ে এলেই তাদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।