সিলেট-৫: হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটায় গণভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়েছেন।
এ সাক্ষাতের খবরে সিলেটজুড়ে নানা আলাপ চলছে। মনোনয়ন দাখিলের আগে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা হুছামুদ্দীন এমন জোর আলোচনা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই আসনে মনোনয়ন দেয় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে।
মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সিলেটজুড়ে তার বাবা আল্লামা ফুলতলীর তৈরি সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহ’র অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছেন। এই আসনের জকিগঞ্জে তার বাড়ি হওয়ায় তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এত সব সমীকরণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ডেকে পাঠানোর পর নতুন করে আলোচনায় মাওলানা হুছামুদ্দনী চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হুছামুদ্দীন চৌধুরী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছর ১২ জানুয়ারি নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি বিশ্বাসবিরোধী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে তা সংশোধন, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়নসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। এবারও সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সিলেট-৫ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের অন্যান্য আসনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।
সিলেট-৫ আসন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। এছাড়া আমাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সবকিছু এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
একটি সূত্রের দাবি, বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় নৌকার প্রার্থী ঝুঁকিতে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে ড. আহমদ আল কবির প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। সে সিদ্ধান্তও হয়তো মাওলানা হুছামুদ্দীনের পথ আরও সহজ করার জন্য হতে পারে।