যুক্তরাষ্ট্রে শি জিনপিং, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলো রক্ষায় চীনের সাহায্য চাইলেন বাইডেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৬:২৩ অপরাহ্ন
তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে মার্কিন সমরাস্ত্র রপ্তানি বন্ধের আহ্বান জানান শি
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজিত পরিস্থিতির মধ্যেই এবার একসঙ্গে বসলেন বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এতে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় থেকে শুরু করে গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ পুনঃস্থাপন ও ফেন্টানাইল উৎপাদন কমিয়ে আনার ব্যাপারে একমত হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এ সময় নতুন চীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হলে তার সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাক্ষাৎ করার কথাও জানানো হয়।
বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ তাইওয়ান দ্বীপ নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা। এ সময় তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে মার্কিন সমরাস্ত্র রপ্তানি বন্ধের আহ্বান জানান শি। তবে তাইওয়ানের স্থিতিশীলতার প্রতি আবারও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।
এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাটিগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা বন্ধে চীনের সহায়তা চান বাইডেন। আহ্বান করেন ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের প্রভাব ব্যবহার করার। মূলত গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা মোকাবিলায় চীনের দ্বারস্থ হতে একপ্রকার বাধ্য হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পৃথিবী দুইটি রাষ্ট্রের সফলতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট বড়। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জানান, দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনোই সংঘাতে রূপ নেওয়া প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও জিনপিংয়ের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাইডেন।