আন্তর্জাতিক ও মার্কিনআইন না মানায় বাইডেন, ব্লিনকেন ও অস্টিনের বিরুদ্ধে মামলা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ৯:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থতার দায়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন।
গাজায় ইসরাইলি হামলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কথা স্বীকার করেছেন ব্লিনকেন। তিনি কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে ইমেইলও পাঠিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে নিউ ইয়র্কের সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাজায় হামাস-ইসরাইল সংঘর্ষ ও গণহত্যা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ও মার্কিনআইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সিসিআরের মতে, গাজায় ইসরাইল যেভাবে বেসরকারি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, তা গণহত্যার শামিল। ১৯৪৮ সালে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে হত্যা বন্ধ করতে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশ শক্তি ও প্রভাব ব্যবহার করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে মার্কিন প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর প্রতিবাদে এই মামলা করা হয়।
সংস্থাটি আরো বলেছে, বর্তমানে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র হচ্ছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য ইসরাইলকে দেওয়া হচ্ছে সামরিক সাহায্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এটা নীতিবিরুদ্ধ বলে মনে করছে সিসিআর। আর মার্কিন সহায়তা পাওয়ায় গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরাইল। ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলায় ইসরাইলকে যাতে জো বাইডেন প্রশাসন অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা না দেয়, তার আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাজায় ফিলিস্তিনে নাগরিকদের গণহত্যা বন্ধে প্রেসিডেন্ট যাতে আশ্বাস দেন, তাও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে দায়ের করা পিটিশনে।
বড় হাসপাতালগুলোতে কম আগ্রাসন চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার ইসরাইলের প্রতি এই আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গাজার বড় বড় হাসপাতাল অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। একই সঙ্গে মানবিক বিরতি কার্যকরে নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বাইডেন বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, গাজার হাসাপাতালগুলোতে আগ্রাসনের মাত্রা কমানো হবে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে মানবিক বিরতির বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তবে চিকিত্সাকেন্দ্রগুলো অবশ্যই এই হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা ও সিএনএন