যা করতে হবে পেট্রলবোমার আগুন থেকে বাঁচতে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭:১৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: এ সময়ে দুর্বৃত্তরা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। আর এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পেট্রলবোমা অথবা সরাসরি বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।
অত্যন্ত দাহ্য একটি তরল পেট্রল। পানি দিয়ে নেভানো যায় না পেট্রলের আগুন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না এলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই জ্বলে-পুড়ে কয়লা হয়ে যাবে গোটা বাসটাই। বাসকে যদি আগুনের হাত থেকে বাঁচানো নাও যায়, তবে সচেতন থাকলে নিজের প্রাণটা হয়তো আপনি বাঁচাতে পারবেন।
যাত্রার সময় জেগে থাকার চেষ্টা করবেন। দেখা যায়, ঘুমন্ত যাত্রী বা বাসের ঘুমন্ত কর্মচারীরাই আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছেন। বাসে ওঠার পর অবশ্যই জানালা বন্ধ করে রাখুন, দূর থেকে পেট্রলবোমা ছুড়লে আগুন যেন সরাসরি বাসের ভেতরে না ঢোকে।
আগুন লাগলে হুড়োহুড়ি না করে ঠান্ডা মাথায় বাস থেকে নামুন। গায়ে আগুন লাগলে দৌড়াবেন না। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সম্ভব হলে বাস থেকে বেরিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিন। এতে অক্সিজেনের প্রবাহ বন্ধ হবে এবং আগুন নিভে যাবে।
পেট্রলের আগুন পানিতে নেভে না, বরং আগুনকে আরও উসকে দেয়। তাই পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা না করে অক্সিজেনের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করুন। মোটা কাপড়জাতীয় জিনিস দিয়ে আগুন লাগা জায়গাটা ঢেকে ফেলুন।
রাজধানীর প্রায় প্রতিটা দোকানে বা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার থাকে। এতে কার্বন ডাইঅক্সাইড কিংবা অগ্নিনির্বাপক ড্রাই পাউডার থাকে। এগুলো জোগাড় করে দ্রুত শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলতে পারেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আক্রান্ত ব্যক্তির পোড়া স্থানে পর্যাপ্ত পানি ঢালার ব্যবস্থা করুন। এতে দ্রুত আক্রান্ত স্থানের তাপমাত্রা কমবে, ফলে শরীরের কোষের ক্ষতি কম হবে।
বাসের কর্মীরা সব সময় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের ফোন নম্বর রাখুন। অথবা ৯৯৯-তে কল করে জরুরি সেবা নিতে পারেন।
সবচেয়ে বড় কথা, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে, সচেতন থাকতে হবে।