দূতাবাসগুলোতে পাঠানো চিঠিতে যা বলেছে বিএনপি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ৭:১৬:২৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকার ও পুলিশকে দায়ী করে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার সকালে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। চিঠিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু ব্যক্তি এবং ক্ষমতাসীন দলের ‘সন্ত্রাসীরা’ সহিংস হামলা চালায়, যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং জনজীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয়। বিএনপির গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এসব সমাবেশে এতো মানুষের সমাগম নজিরবিহীন। বাসে, ট্রেনে, হেঁটে, নদী পার হয়ে সকল পেশার এবং সকল স্তরের মানুষ দৃঢ়তার সাথে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
চিঠিতে বিএনপি অভিযোগ করে যে, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং ২৯ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যদের আক্রমণে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির ৬৯০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০টি মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মূলনীতি পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছেন। ২৮শে অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত পুলিশ বাহিনী বিএনপির মহাসমাবেশে ঢাকায় সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করে।
সারাদেশের মানুষ যাতে ঢাকায় আসতে না পারে সেজন্য তারা মোবাইল চেক করতে রাস্তার পাশে চেকপয়েন্ট বসায়। কারও মোবাইল ঘেটে বিএনপির নেতা-কর্মীর পরিচয় পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ প্রশাসন। সমাবেশ চলাকালীন তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে বক্তৃতা সম্প্রচারে বাধা দেয়।



