যুক্তরাজ্যে ই-পাসপোর্ট চালু, সুবিধাগুলো জেনে নিন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ৯:০৯:২৪ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: অতঃপর দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে চালু হল ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। গত বুধবার ১১ অক্টোবর লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা আনন্দিত এখন থেকে ভোগান্তি কমবে বলে। আয়ারল্যান্ড প্রবাসীরাও থাকছেন এই সেবার আওতায়।
বিশ্বের ১১৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে।
উল্লেখ্য, এমআরপিতে প্রথমে দুই পাতায় যে তথ্য থাকতো ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা। কার্ডের ভেতরে চিপ। সেখানে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য।
ডাটাবেজে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ থাকবে। ফলে ভ্রমণকারীর তথ্য সহজেই জানতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে এবং দেশকে বিশ্বে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।
ভ্রমণ ও অভিবাসন সহজ করার পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা বাড়াতে বিদেশের সব বাংলাদেশ মিশনে পর্যায়ক্রমে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার স্বাগত বক্তব্যে লন্ডন মিশনে ই-পাসপোর্ট সুবিধা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে ভোগান্তি কমবে। একই সঙ্গে প্রবাসীরা চান, বিদেশে থেকেই যেন জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
ই-পাসপোর্টের সুবিধাগুলো জেনে নিন
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে।
ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও) এই পিকেডি পরিচালনা করে। ফলে ইন্টারপোলসহ বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই করতে পারে। এখানে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় এ ধরনের পাসপোর্ট জাল করা সহজ নয়।