বিশ্বনাথে কবর থেকে ৩ মাস পর যুবকের লাশ উত্তোলন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ৯:৫৪:২৬ অপরাহ্ন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে কবর থেকে মৃত্যুর দীর্ঘ ৩ মাস ১৯ দিন পর থানা পুলিশ কর্তৃক সুলতান মিয়া (২৭) নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সুলতান উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজ নগর গ্রামের ইরশাদ আলীর পুত্র। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনএম ইশফাকুল কবিরের উপস্থিতিতে কবর থেকে সুলতানের লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুলতান মিয়া পেশায় যানবাহন শ্রমিক ছিলেন। গত ২১ জুন রাতে সুলতানকে নিয়ে আসেন তার পরিচিত অন্য যানবাহন শ্রমিকরা। এসময় তিনি অসুস্থ বোধ করলে প্রথমে তাকে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুলতান। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামের কবরে সমাহিত করা হয় তাকে। এদিকে গত ১৬ আগস্ট সুলতান মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে দাবী করে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন সুলতানের স্ত্রী নাছিমা বেগম। আদালতের নির্দেশে এটি বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে (নাম্বার ১৪, তাং ২০.০৮.২৩ইং) রেকর্ড করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় একই গ্রামের যানবাহন শ্রমিক হান্নানের পুত্র শাহীন (২৫), ফারুক আলীর পুত্র মুহিন (২১), জয়ফর আলীর পুত্র লুৎফুর রহমান (২০) ও দশদল গ্রামের নূর উদ্দিনের পুত্র সুমন (২০)’কে।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই কবির উদ্দিন জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে উত্তর আজিজ নগর গ্রামের জনৈক গৌছ আলীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে সুলতানের লাশ উত্তোলন করা হয়। ভিকটিমের পুরো দেহ না পাওয়া গেলেও, শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়ের অংশ বিশেষ ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য এগুলো ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।