‘বাবা ও গর্ভবতী স্ত্রী হারিয়েছি, লুকানোর জায়গা নেই, ধ্বংসস্তুপে আমরা’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২:১২:১৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের উপর্যুপরি বোমা হামলায় এখন বিরাণভূমি গাজা উপত্যাকা। ঘরবাড়ি, বহুতল ভবন সব ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও রেহাই মিলছে না। আশ্রয়কেন্দ্রেও বোমা ফেলছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজাবাসী বলছেন ‘লুকানোর কোনো জায়গা নেই, ধ্বংসস্তুপ সবখানে, লাশের গন্ধ বাতাসে, আমরা মৃত এখানে’। গাজা ও ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা ২৫০০ হাজারের বেশি।
‘আমি আমার বাবা এবং আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে হারিয়েছি’
বাইত হানুনে বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় একজন ফিলিস্তিনি বলেছেন যে তিনি পরিবারের আট সদস্যকে হারিয়েছেন।
আলা আল-কাফারনেহ বলেছেন, “আমি আমার বাবা, আমার ভাই, আমার চাচা, দুই চাচাত ভাই, আমার পরিবারের আরও দুজন, আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে হারিয়েছি এবং আমি একমাত্র বেঁচে আছি।”
“আমরা বাইত হানুন শহর ছেড়ে যাওয়ার বার্তা পেয়েছি, তাই আমরা সমুদ্র সৈকত শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলাম। তারা আমরা যে বিল্ডিংটিতে ছিলাম তাকে হুমকি দিয়েছিল, তাই আমরা বিচ ক্যাম্পে নিরাপত্তা খুঁজতে গিয়েছিলাম” তিনি বলেন।
“আমরা যে বিল্ডিংটিতে ছিলাম সেটিও হুমকির মুখে পড়েছিল তাই আমাদের শেখ রাদওয়ান শহরে চলে যেতে হয়েছিল। সেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ছিলাম। হঠাৎ, ভোর ৪টার দিকে আমাদের আঘাত করে কেন জানি না, আমরা কিছুই করিনি…।”
ফিলিস্তিনি পুরো অঞ্চল জুড়ে হাসপাতালে আহত ধারনক্ষমতাও ভেঙে পড়তে চলেছে।
আল নাজার নামে এক ছাত্র হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন, বললেন “বিদ্যুৎ লাইন কাটা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে আমাদের আত্মীয় এবং বন্ধুরা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতেও পারছি না?”
নাজার আরও বলেন, “আরেক বন্ধু আহত হয়েছিল, তার মা মিসাইল হামলায় নিহত হয়েছিল। আপনি ভাগ্যবান হলে, আপনি একটি পূর্ব সতর্কতা পাবেন। গাজায় লুকানোর জায়গা নেই।