পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবে সৌদি আরব কখন, জানালেন যুবরাজ

অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জানালেন, তার দেশ পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবে যদি শত্রু দেশ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুধবার তিনি এই ঘোষণা দেন।

সৌদি যুবরাজ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি ইরান একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে, তাহলে আমরাও একটির অধিকারী হবো।
একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি চুক্তিসহ নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় সৌদি আরব।

তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েলের আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তার দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হওয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিনই ঘনিষ্ঠ হচ্ছি। তবে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করতে আরও অগ্রগতি চায় সৌদি আরব। কিন্তু তিনি যখন এমন কথা বলছেন, তখন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখল করা অংশে বিতর্কিতভাবে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থি সরকার। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বলেন, আমাদের কাছে ফিলিস্তিন ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।

এ পর্যন্ত ৫টি আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে ইসরায়েল। কিন্তু সৌদি আরব এখন পর্যন্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক করেনি।

তাদের স্বীকৃতিকে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতিতে একটি ঐতিহাসিক উপহার হিসেবে দেখছে ইসরায়েল এবং অন্যরা।

উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকার করে আসছে ইরান। তবে ২০১৫ সালে সম্পাদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে ইরান। এ অঞ্চলে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্র হলো ইসরায়েল, তবে তা অঘোষিত। সূত্র: আল আরাবিয়া