সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টা ঢাকা চট্টগ্রামে, সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ৮:৫০:২৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টার সময় জামায়াত-শিবিরের একদল সদস্যের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দ.) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো সমাবেশ ও কর্মসূচি করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করি। কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া জামায়াত-শিবিরের লোকজন এখানে সমবেত হয়ে নাশকতা করার চেষ্টা করেছে।সেটা আমরা তাদের করতে দেয়নি।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়ার পৌরশহরের বায়তুশ শরফ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি চকরিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আবুল ফজলের পুত্র ফোরকান আহমেদ।
চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে ফেরার পথে পুলিশ ও সরকারি গাড়িতে ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এক পর্যায়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এই ঘটনার পর পরই ফোরকান আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। কারণ পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়নি। উত্তেজনার সময় নিজেদের গুলিতে মারা গেছে হয়ত।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দোয়া ও মোনাজাত চলছিল। তখন কিছু জামায়াত কর্মী গায়েবানা জানাজা শুরু করতে চাইলে মসজিদের ভেতরে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কা-ধাক্কি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েন নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা পড়ার চেষ্টা করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এরপর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।




