কাঁচা মরিচের এতো উপকার!
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: গরম-গরম ভাজা মাছে-ভাতে কাঁচা মরিচে দু-চার কামড় দিয়ে ঝালে উহ্-আহ্ করার মজাই আলাদা। কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। রান্নার স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুরি নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা মরিচে থাকা ডায়াটারি ফাইবার, সোডিয়াম, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬, পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে থাকে।
আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁচা মরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করার পরামর্শ দিয়েছেন।
নিয়মিত কাঁচ মরিচ খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়—
গরমকালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে, যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে।
নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন-এ, যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন-সি, তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য এটি খুবই উপকারী।
কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে হজম ক্ষমতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
কাঁচা মরিচ খেলে মস্তিষ্কে সুখী হরমোন এনডরফিন নিঃসৃত হয়। তাই খাবারে স্বাদ যোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনটাও আনন্দিত হয়।