যুক্তরাজ্যে প্রতারণার দায়ে যেসব আইনজীবীদের যাবজ্জীবন জেল হবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৫:১৩ অপরাহ্ন
কঠোর বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, যেসব আইনজীবী অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মিথ্যা আশ্রয় এবং মানবাধিকারের দাবি জমা দেবেন তাদের জেলে যেতে হবে।
দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৭১ দিয়েই প্রতারণার দায়ে ওসব আইনজীবীদের যাবজ্জীবন জেল হয়ে যাবে।
রোববার ব্রিটেনের সংবাদপত্র দ্য মেইলের সাথে এক সাক্ষাত্কারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে ‘অপরাধী এবং বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠা প্রতারকদের’ জন্য একটি ‘প্রতিকূল পরিবেশ’ থাকা দরকার যারা সিস্টেমকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের দ্বারা বেআইনি লোকদের সহায়তাকারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান-যে আছে সেদিকেও ইংগিত দেন তিনি।
ডেইলি মেইলের একটি বড় আকারের গোপন তদন্তের পরেই এলো সুয়েলার বিবৃতি। মেইলের তদন্তে বের হয়েছে কিছু আইনজীবী মিথ্যা এসাইলাম পেপার তৈরি করে দেওয়ার জন্যে হাজার হাজার পাউন্ড চার্জ করেন।
‘স্টপ দ্য বোটস’ সপ্তাহ নামে সরকারী উদ্যোগের একটি সিরিজের আগে ওইসব আইনজীবীদের এমন চর্চার বিরুদ্ধে একটি ক্র্যাকডাউন ঘোষণা করে, মিসেস ব্র্যাভারম্যান বলেছেন: ‘এটা খুব সহজ। তাদের সত্যিই জেলে যাওয়া দরকার’।
‘আমাদের কাছে ইতিমধ্যেই এমন আইন রয়েছে যা ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে আপনি যদি কোনও অভিবাসীকে অবৈধভাবে সহায়তা করেন তবে আপনার সম্ভাব্য আজীবন জেল হতে পারে।’ সুয়েলা বলেন।
তিনি আরও বলেন ‘এবং যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে এই আইনজীবীদের দীর্ঘদিন জেল খাটতে হবে। তাদের জানা দরকার যে তারা এ থেকে পার পাবে না। তাদের জানা দরকার যে তাদের এমন অবৈধ চর্চা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’
হোম অফিস এবং বিচার মন্ত্রনালয়ের আইনজীবীরা পরামর্শ দিয়েছেন অভিবাসন আইন ১৯৭১ জাল আশ্রয়ের দাবিতে হাজার হাজার পাউন্ড চার্জ করা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস নির্দেশিকা অনুসারে সর্বোচ্চ সাজা হল যাবজ্জীবন। তবে মামলার ধরন নীরিখে কিছু ব্যবধান হতে পারে।
মিসেস ব্র্যাভারম্যান বলেছেন ‘যে আইনজীবীরা সিস্টেমের সাথে প্রতারণা করার চেষ্টা করেন তারা আইনের পূর্ণ শক্তি সম্পর্কে জানেন। তারা ব্রিটিশ জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন।’
তিনি বলেন ‘এমপি হওয়ার আগে আমি নিজে একজন ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করেছি, অভিবাসন মামলায় হোম অফিসকে ডিফেন্ড করেছিলাম, এবং আমি জানি সমস্যাটির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন কী মোকাবিলা করছি’।



