কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ১৪ মিলিয়ন ফলোয়ারের ফেসবুক পেইজ স্থগিত যে কারণে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৩, ৩:২৯:৩৬ অপরাহ্ন
‘হয় আপনি আদালতে যাবেন বিচারের জন্য, নয়তো মাঠে এসে আমার জনগণের হাতে মার খাবেন’
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে সহিংস রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের পেজ। এরপর তিনি বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক ছাড়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে নিজের দেশে ফেসবুকে বন্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে হুন সেনের ফলোয়ার ১৪ মিলিয়ন। যদিও এখন তিনি টেলিগ্রাম ও টিকটক ব্যবহার করছেন।
ফেসবুকের পরিচালক মেটার ওভারসাইট বোর্ড বৃহস্পতিবার ভিডিওটির জন্য তাকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে। তবে ওই ভিডিও জানুয়ারিতে পোস্ট করা হয়েছিল। ভিডিওটি সরিয়ে নিতে ফেসবুকের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়েছে।
ফেসবুকের পর্যবেক্ষণ বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, হুন সেনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস, রাজনৈতিক বিরোধীদের ভয় দেখানো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরোধী দলকে হুমকি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড মেটাকে তার ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ভিডিওতে হুন সেন জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তার দলের ভোট চুরির অভিযোগ আনায় বিরোধী নেতাদের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হয় আপনি আদালতে যাবেন বিচারের জন্য, নয়তো মাঠে এসে আমার জনগণের হাতে মার খাবেন। এর কিছু পরেই ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড হুনকে নোটিশ পাঠায়।
হুন সেন ৩৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক নেতাদের একজন। তার শাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জুলাইয়ের ভোটের আগে সমস্ত বিরোধী দলকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে।
কম্বোডিয়ার স্ট্র্যাঞ্জিও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হুন সেনের টিকটক ও টেলিগ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কম্বোডিয়ায় চীন ও রাশিয়ার প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।
টিকটকের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সদর দপ্তর বেইজিংয়ে অবস্থিত। আর টেলিগ্রামের সদর দপ্তর রাশিয়ায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক থেকে হুন সেনের নিষিদ্ধ করাকে মানবাধিকার নিয়ে ‘বিগ টেক’ ও একনায়কদের লড়াই বলেছে।
এইচআরডব্লিউর ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেন, একজন কর্তৃত্ববাদী যখন সামাজিক মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেয়, তখন তা মোকাবিলা করা বেশ কঠিন। যেমনটি আমরা ইতিমধ্যে কম্বোডিয়ায় অনেকবার দেখেছি।