জুলাইয়ে তুমুল আন্দোলন বিএনপির, রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৩, ১০:০০:০৩ অপরাহ্ন
বিএনপির সমাবেশের ফাইল ছবি
অনুপম নিউজ ডেস্ক: চলমান রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেবে আগামী মাসে—মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দেশের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। দশ দফা বা ২৭ দফা কোনোটিই নয়, জুলাই থেকেই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি–এমন হুুঁশিয়ারি দিচ্ছেন দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যে আন্দোলন হবে সেটি এক দফার আন্দোলন হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে বাকি ১০ দফা বা ২৭ দফা যাই বলি না কেন, এমনিতেই বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।
নয়টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর কোনো চমক ছাড়াই রাজধানীর গোলাপবাগে ১০ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, নেতাকর্মীদের মুক্তি, নিত্যপণ্যের দাম কমানো। এসব দাবিতে ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে দলটি।
গণসমাবেশ, বিক্ষোভ গণঅবস্থান, পদযাত্রার মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকলেও সরকারকে চাপে ফেলার মতো কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেনি বিএনপি।
জাতীয় নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ছয় মাস। তাই অন্য দাবি বাদ দিয়ে শুধু এক দফা আন্দোলনের দিকে যেতে চায় দলটি। এরই মধ্যে দলের শীর্ষপর্যায়ের বৈঠকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের দাবিসংবলিত এক দফার খসড়া করা হয়েছে।
আর দলটির অপর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও একধাপ এগিয়ে বললেন, ‘শুধু এক দফা, ১০ দফা ১০ দফা পরে হবে। এখন এক দফা। সেটা হলো এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ। দেশি-বিদেশি সবাই যা চাচ্ছে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতা পূর্ণ একটি নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করা।’
তবে এক দফা চূড়ান্ত হলেও তা বাস্তবায়নে আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে, সে বিষয়ে এখনও একমত হতে পারেনি বিএনপি ও সরকারবিরোধীরা। যদিও দলটির নেতারা বলছে, ঢাকা ঘেরাও, হরতাল বা অবরোধ এমন কর্মসূচিও আসতে পারে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলন, যে আন্দোলনে এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য। বিএনপি শুধু ওই আন্দোলনে জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারণ, এটা বিএনপির দায়িত্ব। এই সরকারের পদত্যাগে সামনের যে কোনো আন্দোলনে বিএনপি জনগণকে নিয়ে আন্দোলনে থাকবে।
আর এ জন্য রাজধানীকে অচল করে দেয়া ছাড়া উপায় দেখছেন না হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে রাজধানী অচল করে দিতে হবে। বিরোধী দলের নিয়ন্ত্রণে থাকে যাতে রাজধানী সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে সরকারকে হটানো সহজ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, আমাদের তিন দিনও করা লাগবে না। আর অবস্থান করা, হরতাল পালন করা তো আমাদের অধিকার।’
জুলাইয়ের শেষের দিকে ঢাকায় জনসমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী এক দফা ঘোষণার কথা রয়েছে বিএনপির। দলটির নেতারা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সরকার পতনের লক্ষ্য ধরেই এবার মাঠে নামবেন তারা।