ন্যূনতম ২০০০ টাকা কর দিতে হবে না
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০২৩, ৯:০১:১৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের আয়কর দাতারা রিটার্ন জমা দিলেই ন্যূনতম ২০০০ টাকা কর দেয়ার যে প্রস্তাব জাতীয় সংসদে দেয়া হয়েছিল সেটি থেকে সরে এসেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বাদ দিয়েই জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে অর্থবিল ২০২৩ পাস করা হয়েছে।
রিটার্ন কি? করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করাই হচ্ছে আয়কর রিটার্ন।
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। স্পিকার বিলটি পাসের জন্য ভোটে দিলে সেটি সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এতে করে রিটার্ন জমা দিলেই যাদের আয়কর যোগ্য আয় থাকবে না তাদের আর কর দিতে হবে না। রোববার এই প্রস্তাব প্রত্যাহারসহ আরও কিছু সংশোধনীসহ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৩-২৪ পাস করা হয়।
অর্থমন্ত্রী গত ১ জুন আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বর্তমানের থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না।
এ রেয়াতের পর কারও আয় করযোগ্য হলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম তিন হাজার টাকা আয়কর দিতে হয়। আয়কর দাতা ঢাকা ও সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা হলে তাকে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেই রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দিলেও আয়করযোগ্য আয় না থাকলে কর দিতে হয় না।
তবে রাজস্ব বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর ২০০০ টাকা কর প্রস্তাবের পর এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী নেতাসহ প্রায় সব পেশার মানুষ এমন কর বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ করেন।
প্রস্তাবে যা বলা হয়েছিল
আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর দিয়ে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এ ধরনের অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের সক্ষম জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে আয় রয়েছে অথচ সরকার থেকে সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের বাধ্যবাধকতা আছে, এমন করদাতাদের কাছ থেকে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর আদায়ের প্রস্তাব করেন তিনি।