সিসিক নির্বাচনের পরদিন থেকে সিলেটে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৩, ৬:৫৮:৩১ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন গত বুধবার ২১ জুনের পরদিন থেকেই সিলেট মহানগরে শুরু হয় তীব্র লোডশেডিং। এতে খুব দুর্ভোগে রয়েছেন বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের অন্তর্ভুক্ত গ্রাহকরা।
সিলেট শহরতলি ও বিভাগের গ্রামাঞ্চলের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিউবো। এসব এলাকায়ও চলছে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং। ফলে প্রাত্যহিক কাজকর্মে ব্যঘাতের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগিরা।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন- কয়েকটি উৎপাদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সারা দেশেই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তাই সিলেটেও এমন হচ্ছে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী গ্রাহকদের সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে।
জানা যায়, সিলেটে লোডশেডিং কমাতে নির্বাচনের আগে (১৮ এপ্রিল) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ফোন দিয়ে সরবরাহ বাড়ানো অনুরোধ করেছিলেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন সিলেট বিউবোর এক সভায় যোগ দিয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রীকে ফোন করে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার এ অনুরোধ করেন। এরপর থেকে সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে নির্বাচনের পরদিন থেকেই সিলেটে স্বরূপে ফিরে আসে লোডশেডিং।
গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- নির্বাচনের আগে সিলেটে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকতে পারলে নির্বাচনের পর থাকবে না কেন? আমরা সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিউবো সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চল-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন শনিবার বলেন, আজ বিকেল ৫টার দিকে ২নং ডিভিশনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ৩০ মেগাওয়াট। তিনি সরবরাহ করা হয়েছে ২০ মেগাওয়াট। তাই স্বভাবতই লোডশেডিং হচ্ছে।
বিউবো সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আরাফাত আল মাজিদ সিলেটভিউ-কে বলেন- বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। দেশের কয়েকটি উৎপাদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সরবরাহে এমন সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন- ‘আজ (শনিবার) বিকালে বিউবো সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের চাহিদ ছিলো ২৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু মিলেছে ১৮১ মেগাওয়াট। আমাদেরকে যা দেওয়া হয় তাই-তো আমাদেরকে বন্টন করতে হয়। ঘাটতি থাকলে লোডশেডিং হবেই।