যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না: ব্লিঙ্কেন

অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার (১৯ জুন) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর বিবিসি’র।

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’

তবে তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানান তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শি’র সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের রাশিয়ার ‘আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ’সহ বৈশ্বিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেবে না। সম্প্রতি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশকেও এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এটা খুবই গুরুপূর্ণ একটি প্রতিশ্রুতি, গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

তবে চীনের বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা তুলে ধরেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অর্থনৈতিকভাবে আটকে রাখতে চায় বলে জল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি চীনের জনগণকে আশ্বস্ত করছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এমনটি চায় না। ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের বৃহত্তর অর্থনৈতিক অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকেও লাভবান করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চীনের নির্দিষ্ট কিছু প্রযুক্তির বিস্তার ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে অস্থিরতা রয়েছে এবং এখানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা জরুরি।