চীনের মন্তব্যের পর বাংলাদেশ প্রতিক্রিয়ায় যা বলল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২৩, ১০:০১:৪০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: যে কোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের মত বাংলাদেশও নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, সার্বভৌমত্বের চেতনার ভিত্তিতে সে বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সার্বভৌম অধিকারের প্রশ্নে সবাই সম্মান দেখাবে, সেটাই বাংলাদেশ চায়।
চীনের ওই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পরদিন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’– এটাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য সরকারের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে চায়, যে কোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের মত বাংলাদেশও নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, সার্বভৌমত্বের চেতনার ভিত্তিতে সে বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া রূপকল্প ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত নেয় বলেও বার্তায় জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখেছে, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়– জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া এই মূলমন্ত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি গ্রহণের যে সার্বভৌম অধিকার, তার প্রতি সব পক্ষ ‘সম্মান প্রদর্শন করবে’ বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে।
আগের দিন চীনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একটি আয়োজনে বাংলাদেশকে নিয়ে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি সমুন্নত রাখতে এবং নিজেদের বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ অনুসরণের প্রশ্নে বাংলাদেশকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।
সেদিন বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে চীনা এই কর্মকর্তার এমন প্রতিক্রিয়া আসে। ঢাকায় চীনা দূতাবাস বুধবার তাদের ফেইসবুক পেইজে তাদের মুখপাত্রের ওই বক্তব্য প্রকাশ করে।
বাংলাদেশে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা, এখানে নির্বাচন নিয়ে ভিসানীতি গ্রহণ এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের চিঠির বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘হয়ত চাইছে না’ তিনি ক্ষমতায় থাকেন। তিনি এমনও বলেছেন, সাত সমুদ্র ১৩ নদী পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে কিছুই হবে না। বাংলাদেশ অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে।




