মহাশূন্যের কিনারে খাবেন মিশেলিন স্টার ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে (ভিডিও), অগ্রিম বুকিং চলছে

অনুপম বিজ্ঞান ডেস্ক: এখন আর কেবল রকেটে মহাশূন্যে যাওয়ার কথা ভাবা হয় না। এক দুই কিলোমিটার না, ২৫ কিলোমিটার উপরে যাওয়া যায় রকেটের গতিতে না, অনেক ধীর গতিতে গোলাকার পৃথিবীর বিস্তারিত ব্যাসার্ধ দেখে দেখে। সেদিন বেশি দূরে না, ‘মহাশূন্যের কিনারে’ বসেই খাওয়া যাবে ‘মিশেলিন স্টার’(অতি উৎকৃষ্ট মানের খাবার)। শুনতে অবাক লাগলেও যদি ফরাসি কোম্পানি জেফাল্টো চায় তবে সামনের বছরেই এটি সত্যি হতে পারে।

সাবেক এয়ার ট্রাফিক কন্টোলার ভিনসেন্ট ফ্যারেট ডি অস্তিসের মহাকাশ পর্যটন কেন্দ্রটি বর্তমানে একটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক বেলুনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যাপসুলে করে ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

এই ক্যাপসুলটি ভূপৃষ্ট থেকে ২৫ কিলোমিটার উঁচুতে আরোহণ করবে। যেখান থেকে ভ্রমণকারীরা পৃথিবীর বক্রতা দেখতে পারবে। এই বিস্ময়কর দৃশ্য উপভোগের সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুরা মদ পান করতে পারবেন এবং দামি খাবার খেতে পারবেন।

অগ্রিম টিকিট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার ইউরোতে। একটি টিকিট বিক্রির পর ক্রেতারা আরেকটি টিকিট সংরক্ষণ করার সুযোগ পান।

জেফাল্টো সিএনএন ট্রাভেলকে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফ্লাইটের আসনগুলো ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে। তারা এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে।

এটি ছয়জন যাত্রী এবং দুইজন পাইলট নিয়ে প্রতি সেকেন্ডে চার মিটার গতিতে ৯০ মিনিটে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছে। মানে দেড় ঘণ্টায় যাবে ২১.৬ কিলোমিটার। বলা হচ্ছে, ক্যাপসুলটি তিন ঘণ্টার জন্য পৃথিবীর উপরে ভাসবে এবং এটি কয়েক দফা খাবার খাওয়ার জন্য এবং ফ্রেঞ্চ ওয়াইন পানের জন্য পর্যাপ্ত সময়।

ভিনসেন্ট ফ্যারেট ডি অস্তিস সিএনএন ট্রাভেলকে বলেছেন, খাবার এবং পানীয়গুলো বিলাসবহুল হবে। মূলত পৃথিবীর দৃশ্য এবং সামগ্রিক যাত্রাটাই এর আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। যা ভ্রমণপিপাসুদের প্রশংসা করতেই হবে বলে মনে করেন তিনি।

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক বেলুনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যাপসুল কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে যায় তার একটি নমুনা ফাইল ভিডিও আমেরিকান বেলুনশিপের নিচে-