লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী: দেশের মানুষ এখন ঘরে বসে উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৩, ১০:০১:৪৩ অপরাহ্ন
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি
লন্ডন অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার আমলে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৪ জন ছিল, আমাদের আমলে সেটা ২১ জনে নেমে এসেছে। আমরা শিশু পুষ্টির হার বাড়িয়েছি। এখন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। শিক্ষায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি। আমরা কারিগরি শিক্ষা সারাদেশে বাড়িয়েছি। দেশের মানুষ এখন ঘরে বসে উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৭ মে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও আমার জন্য স্মরণীয় এবং রাজনৈতিকভাবে আলোচিত একটি দিন। ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আমাকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার চেষ্টা চালায় সে সময়ের সেনা সমর্থিত সরকার। আমাকে বহন না করতে এয়ারলাইনসগুলোকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। বৈধ টিকিট থাকার পরও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান আমাকে দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আমি আজকের তারিখেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরি।
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আজ লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখার সময় এ কথাগুলো বলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
৭ মে দুপুর ২টা থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের ম্যারিয়েট হোটেলে আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ জেনে গেে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি।
‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।
শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের তারিখে ২০০৭ সালে লাখো জনতা সেদিন আমাকে দেশে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল-শোভাযাত্রাসহ আমাকে ধানমণ্ডিতে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সেই ঐতিহাসিক ৭ মে লন্ডন থেকে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। তখন প্রবাসী নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করে অনেকে লন্ডনে ফিরেন সেই বিশেষ দিনে নেত্রীকে সংবর্ধনা দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।




