লাগাতার আন্দোলনের যাচ্ছে বিএনপি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। পহেলা মে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি।
সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত হয়। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে দলটি। প্রথমে অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অথবা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। ধাপে ধাপে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চায় দলটি। পরে রোডমার্চ, লংমার্চের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে চায়। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটও একই কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামবে। বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে আর সময় দিতে চায় না বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না-এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকার নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এবং পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় মাঠে নেমেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তারপর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি মেনে নেওয়া না হলে যা করা দরকার জনগণ তাই করবে। আন্দোলন চলছে, সামনে আরও কর্মসূচি আসছে। আন্দোলন আরও বেগবান হবে। সরকারের আচরণেই নির্ভর করবে বিএনপির আন্দোলনের ধরন কী হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্দোলন কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়, আবার কখনো কখনো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিজয় লাভ করে। যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মাত্র নয় মাসের মধ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আবার ভিয়েতনামের যুদ্ধ অনেক দিন চলেছে, দীর্ঘদিন পর তারা স্বাধীন হয়েছে। কোন সরকার কবে যাবে, সেটা নির্ধারিত নয়; এটা নিশ্চিত যে ফ্যাসিবাদের পতন অনিবার্য। এটা করবে দেশের জনগণ। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায় ঘটানো হবে।’




